বিগত দু বছরের বেশি সময় ধরে, অতিমারী শুরুর থেকে বন্ধ প্রায় সব কিছু। চলতি বছরের শুরু থেকে এই অতিমারী পরিস্থিতি শিথিল হয়ে ধীরে ধীরে ফিরছে আগের ছবি। এই পরিস্থিতিতে করোনা পরিস্থিতি কাটতেই ইউরোপ, আমেরিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে ২০২২ সালের গোড়া থেকে পর্যটকের ঢল নেমেছে। বছরের বাকি সময়টাতেও এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ইউরোপে ২০২১ সালের প্রথম ৩ মাসের তুলনায় ২০২২ সালে পর্যটকের সংখ্যা অন্তত ৬ কোটি বেড়েছে। একইসঙ্গে আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যেও পর্যটকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এসম্পর্কে খতিয়ান পেশ করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ।
করোনা পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে টানা দুবছর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটন শিল্প। ফের গতি আসছে পর্যটন শিল্পে। ভালো সময়ের মুখ দেখছে ইউরোপের পর্যটন শিল্প। এখবর জানিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ইউরোপে বেড়াতে গিয়েছেন লক্ষ লক্ষ পর্যটক। রাষ্ট্রসঙ্ঘের পেশ করা পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে ১০ কোটি ১৭ লক্ষ পর্যটক ইউরোপ ভ্রমণ্ গিয়েছেন। ২০২১ সালে ইউরোপে যত সংখ্যক পর্যটক এসেছিল তা চেয়ে চলতি বছরে ইউরোপ ভ্রমণকারীর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। ২০২১ সালে প্রথম তিন মাসে ইউরোপে আসা পর্যটকের সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ১০ লক্ষ।
করোনা পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের পর গোটা ইউরোপ জুড়ে কোভিডবিধি কঠোর করা হয়। বিদেশি রাষ্ট্রগুলির নাগরিকদের ইউরোপে ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইউরোপের দেশগুলি। এর ফলে ইচ্ছা থাকলেও বহু পর্যটকের ইউরোপ বেড়াতে যাওয়ার সাধ মেটেনি। চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ইউরোপ ভ্রমণে গিয়েছেন ২০২১ সালে এই সময়সীমার নিরিখে অন্তত ৬ কোটিরও বেশি পর্যটক। সবচেয়ে বেশি পর্যটক ইউরোপে বেড়াতে গিয়েছেন গত মার্চ মাসে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ এপর্যন্ত ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত হিসেব জানিয়েছে। পরবর্তী মাসগুলির সম্পর্কে এখনও কোনও পরিসংখ্যান জানানো হয়নি।
তবে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, ২০২২ সাল জুড়ে ইউরোপে পর্যটন শিল্পে গতি আসবে। অব্যাহত থাকবে পর্যটকের ঢল। ইউরোপের যে পর্যটনস্থলগুলিতে মাসের পর মাস কোভিড নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল তাও তুলে নেওয়া হয়েছে। রাশিয়া বনাম ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে্ ইউরোপের পর্যটনশিল্প ফের ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা ছিলই। তবে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চলা রাশিয়া বনাম ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে ইউরোপের পর্যটকের আসা কমেনি। ফলে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মহল খুশি।
তবে রাশিয়া বনাম ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জ্বালানির দামবৃদ্ধিতে খানিকটা চিন্তার ভাঁজ পর্যটন ব্যবসায়ীদের কপালে। ইউরোপের পাশাপাশি আমেরিকাতেও বেড়েছে পর্যটকের সংখ্যা। ২০২১ সালের তুলনায় আমেরিকায় চলতি বছরে এপর্যন্ত দ্বিগুণ সংখ্যক পর্যটক বেড়াতে গিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যেও এখন পর্যটকের ঢল নেমেছে।