গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের হেফাজতে রয়েছে রাজ্যের হেভি ওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআই হেফাজতে ১৪ দিনের মেয়াদ শেষ৷ বুধবার সাত সকালেই নিজাম প্যালেস থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে আসানসোলে সিবিআই-এর বিশেষ আদালতের উদ্দেশে রওনা হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা৷
সকাল ১০টা নাগাদ গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে সিবিআইয়ের কনভয় আচমকাই এসে থামে শক্তিগড়ে। সেখানে রয়েছে ল্যাংচার একটি বিখ্যাত দোকান। তার ঠিক গায়েই লাগোয়া বাতানুকূল রেস্তরাঁ।
দেখা যায়, গাড়ি থেকে নামার পর সিবিআই কর্তারা বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির হাত ধরে ওই রেস্তোরাঁর দিকেই নিয়ে যাচ্ছেন৷ সূত্রের খবর, এই রেস্তরাঁতেই প্রাতরাশ সারেন কেষ্ট। জলখাবারের মেনুতে ছিল মুড়ি আর চা। তবে তিনি শক্তিগড়ের বিখ্যাত মিষ্টি ল্যাংচা খেয়েছেন কি না তা অবশ্য জানা যায়নি।
যদিও তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা মধুমেহ রোগে আক্রান্ত৷ ফলে সাত সকালে তাঁর মিষ্টি খাওয়ার সম্ভাবনা কম৷ সূত্রের খবর, রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে তিনি নিয়মিত খালি হাতে বেশ কিছু শরীর চর্চাও করেন। খাওয়া দাওয়া নিয়েও তিনি বেশ সতর্ক৷
হেফাজতে থাকাকানীল সিবিআইয়ের দেওয়া মশলাদার খাবার খেতে চাননি কেষ্ট। তাঁর আবদার মেনে আলাদা করে তেলমশলাহীন খাবারের ব্যবস্থা করতে হয়েছিল সিবিআইকে। তাই ল্যাংচার দোকানে ঢুকলেও প্রাতরাশে তিনি মিষ্টি খাবেন বলে মনে হয় না। সূত্রের খবর রেস্তোরাঁয় বসে অনুব্রত জলখাবারে মুড়ি খেয়েছেন। সঙ্গে চা। অনুষঙ্গ কিছু ছিল কিনা, তাও জানা যায়নি৷
আজ খুব সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ায় অনুব্রতকে প্রাতরাশ করানোর সময় পায়নি সিবিআই৷ তাই যত্ন করে বাতানুকুল রেস্তোরাঁয় প্রাতরাশ করানো হয় কেষ্টকে৷ সিবিআই-এর এই যত্নও ছিল চোখে পড়ার মতো৷