বিনা কারণে ফাঁসানো হচ্ছে আরিয়ানকে

প্রতি নিয়ত নয়া মোড় নিচ্ছে বলিউডের মাদক মামলা ৷ আরিয়ান মামলার মাঝে আচমকাই এনডিপিএস আদালতে পৌঁছন সমীর ওয়াংখেড়ে৷ কিন্তু কেন? ওয়াংখেড়ের দাবি, এই মামলায় তাঁকে নিশানা বানানো হবে তিনি জানতেন৷ আশঙ্কা ছিল তাঁকে ফাঁসানো হতে পারে মিথ্যে মামলায়৷ সে কারণেই তিনি আগেভাগেই আইনি সুরক্ষার জন্য শরণাপন্ন হন৷ 

ওয়াংখেড়ে জানান, তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে৷ শুধু তাঁকেই নয়, তাঁর পরিবার, বোন এমনকী মৃত মাকেও নিশানা করা হচ্ছে৷ তাঁর বিরুদ্ধে যে মিথ্যে মামলা আনা হয়েছে, তার তদন্তে তিনি সহরকম ভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন ওয়াংখেড়ে৷ সমীর জানান, তিনি লক্ষ্য করেছেন কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করছেন। বিষয়টি তিনি এনসিবি-র ডেপুটি ডিরেক্টর-জেনারেল মুথা জৈনকেও জানিয়েছেন৷ এনসিবি-র ডিরেক্টর জেনারেলকেও এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন৷   

আরিয়ান খান মামলায় শাহরুখ-পুত্রর মুক্তি পণ হিসাবে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে৷ এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়৷ এই মামলার অত্যমত সাক্ষী প্রাইভেট ডেটেক্টিভ কিরণ গোসাভির দেহরক্ষী প্রভাকর সেইল গোটা পরিকল্পনার কথা ফাঁস করেন৷ তিনি জানান, গোসাভির পরিকল্পনা ছিল শাহরুখ খানের ম্যানেজার পুজা দাদলানির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর কাছে ২৫ কোটি টাকা দাবি করা। শেষ পর্যন্ত ১৮ কোটিতে মিটমাট করার পরিকল্পনাও ছিল তাঁর। তবে এই ১৮ কোটির মধ্যে ৮ কোটি টাকা দেওয়া হত এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়েকে৷

প্রভাকর গোসাভির বিরুদ্ধে মুখ খোলার কয়েক ঘণ্টা আগেই মুম্বই পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লিখে তাঁকে ফাঁসানো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ওয়াংখেড়ে৷ ঘটনাচক্রে সমীর ওয়াংখেড়ে এই চিঠি পাঠানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এনসিবি আধিকারিকজের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলেন প্রভাকর৷ যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন এনসিবি অফিসার ওয়াংখেড়ে৷