অর্পিতার একের পর এক ফ্লাট থেকে উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। মিলেছে একের পর এক সম্পত্তির হদিশ। এবার অভিযোগ কর ফাঁকি দেওয়ার৷ ‘ইচ্ছে’ করে এবার কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে৷
কসবার রাজডাঙায় মেইন রোডের উপর অবস্থিত তাঁর বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ‘ইচ্ছে’-র বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম৷ অভিযোগ, এই জমিতে বাড়ি তৈরির পর পুরসভাকে বিপুল পরিমাণ কর ফাঁকি দিয়েছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়৷
দোষ প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ইঙ্গিত কেএমডিএর চেয়ারম্যান ফিরহাদের। বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে কসবায় ৯৫ নম্বর রাজডাঙা মেইন রোডের তিনটি প্লট। কর ও রাজস্ব খাতা অনুযায়ী, এর মধ্যে ১১ নম্বরে প্লটে রয়েছে ‘ইচ্ছে’৷
খোঁজ পেয়ে ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার এই বাড়িটিতেও তল্লাশি অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এদিকে, ১০ এবং ১২ নম্বর প্লটে বাড়ি থাকলেও পুরসভার খাতায় তা ফাঁকা জমি হিসেবে উল্লিখিত। ১১ নম্বর প্লটে ২ কাঠা ৯ ছটাক জমির উপর তৈরি হয়েছে ইচ্ছে।
এই বাড়ি থেকে পুরসভা বাৎসরিক কর পায় ২,৩৫৬ টাকা। অথচ, বাড়ি-সহ জায়গার প্রকৃত পুরকর হওয়া উচিত ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকারও বেশি! অর্থাৎ, এই জমিতে বিপুল কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
ইডি-র গোয়েন্দাদের দাবি, ‘ইচ্ছে’র বাড়ির মালিক অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এই বাড়িটি থেকেই প্রোডাকশন হাউজ চালাতেন তিনি। এছাড়া বিয়েবাড়ি ও শ্যুটিংয়ের জন্যও ভাড়া দেওয়া হত। যদিও তার কিছুই পুরসভা জানে না বলে দাবি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, বাড়ি বেআইনি হলে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে পুরসভা ভেঙে ফেলবে।