এই মুহূর্তে উত্তাল পরিস্থিতি রাজ্যের মহানগরীর বুকে। শুক্রবার দিনভর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে শহর জুড়ে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক জনের বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যায় ইডি আধিকারিকরা।
রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারী, প্রাক্তন এসএসসি চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে চলে এলেও শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে তাঁরা এই মুহূর্ত পর্যন্ত বেরোয়নি বলেই জানা গিয়েছে। এদিকে, শুক্রবার রাতেই পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ২০ কোটির বেশি টাকা।
এখন স্বাভাবিক প্রশ্ন একটাই, কে এই অর্পিতা মুখোপাধ্যায় যে এত ভরসাযোগ্য? সন্ধ্যায় ইডির একটি দল হানা দেয় অর্পিতার ফ্ল্যাটে। সেখানে উদ্ধার হয় নগদ ২০ কোটি টাকা এবং ২০টি মোবাইল ফোন। যদিও ইডি সূত্রে জানান হয়েছে, তাঁর ফ্ল্যাটে যাওয়ার কথা ছিল না তাদের।
তল্লাশির প্রাথমিক তালিকায় এই ফ্ল্যাট ছিল না। কিন্তু সারাদিন ধরে অভিযান চালানোর সময় এই অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর বাড়িতে থাকা টাকার কথা জানতে পারে ইডি। সেই সুত্রেই দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত আবাসনে পৌঁছে যায় তাঁরা।
অর্পিতা মুখোপাধ্যায় রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই দাবি করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, তিনি আইনি পেশার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু আদতে তিনি ঠিক কী কাজ করেন তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা অর্পিতা শহরের একটি নামী দুর্গা পুজোর সঙ্গে যুক্ত।
সেই দুর্গা পুজোর বিজ্ঞাপনের জন্যও কাজ করেছেন তিনি। ঘটনাচক্রে, এই পুজোর সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও সরাসরি যুক্ত বলেই জানা গিয়েছে। যদিও তৃণমূলের তরফে প্রাথমিকভাবে এই মহিলাকে চিনতে অস্বীকার করা হয়েছে। যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ছবি এখন ভাইরাল হয়েছে।
শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার সকালেই ডায়মন্ড সিটি আবাসনে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইডি-র অফিসাররা৷ সেখান থেকেই ৫০০ এবং ২০০০ টাকা নোটে প্রায় ২০ কোটি টাকা উদ্ধার করেন তাঁরা৷ ইডি জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া টাকার সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির সম্পর্ক থাকতে পারে।
তবে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় কী ভাবে এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়েছিলেন সেটাও স্পষ্ট নয়৷ কিন্তু তাঁর অন্যতম পরিচয় তিনি মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ৷ ২০১৫-১৬ সাল থেকেই শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা৷