শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় আদালতে ED-র দাবি, অর্পিতার বাড়িই ছিল স্কুলে বেআইনি নিয়োগের আখড়া

এই মুহূর্তে রাজ্যে জুড়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত আবাসনে তাঁর ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হয়েছে নগদ প্রায় ২২ কোটি টাকা৷ সঙ্গে প্রচুর সোনার গয়না ও ২০টি মোবাইল ফোন৷ রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ সেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেই এবার এসএসসি’র বেআইনি নিয়োগের অন্যতম চক্রী বলে আদালতে দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

শুধু তা-ই নয়, পার্থ ঘনিষ্ঠ এই অর্পিতার বাড়িই ছিল স্কুলে বেআইনি নিয়োগের আখড়া বা কেন্দ্রস্থল (এপিসেন্টার)৷ রবিবার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের (সিএমএম) আদালতে তেমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।

রবিবার কলকাতা সিএমএম আদালতে অর্পিতাকে তোলে ইডি৷ সওয়াল-জবাবের সময় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি জানায়, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ এই মডেল-অভিনেত্রী যথেষ্ট ‘প্রভাবশালী’।

স্কুল সার্ভিস কমিশন ও প্রাথমিক টেট-এ নিয়োগ-দুর্নীতির অন্যতম মূল চক্রী তিনি। টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি সাউথে অর্পিতার যে ফ্ল্যাট থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে, সেটি আদপে স্কুলে বেআইনি নিয়োগের ‘এপিসেন্টার’ (কেন্দ্রস্থল)।

ইডি-র পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, অর্পিতার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে শিক্ষা দফতরের নিয়োগের বিভিন্ন নথি উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে এসএসসি, গ্রুপ-ডি ও নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের নথিও রয়েছে। ইডি-র প্রশ্ন, যে নথি সরকারি দফতরে থাকার কথা, সেই নথি অর্পিতার ফ্ল্যাটে এল কী করে?

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা আদালতে আরও জানায়, অর্পিতার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে ‘মিনিস্টার ইন-চার্জ এডুকেশন’ লেখা বেশ কয়েকটি খালি খামও পাওয়া গিয়েছে৷ তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, সম্ভবত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে ওই খামে করেই বেআইনি নিয়োগের সুপারিশপত্র পাঠানো হয়েছিল।