রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে ওএমআর সিট প্রকাশ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে তাতে অনেকের চাকরি নিয়ে সংশয় বেড়েছে। কিন্তু SSC নবম-দশম শ্রেণির ওএমআর সিট প্রকাশের পর ভাগ্যবান হলেন ১৫ জন প্রার্থী। নবম দশম শ্রেণির এসএলএসটিতে নিয়োগে বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল যা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পাশাপাশি ওএমআর সিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। সেই সময়ে ওয়েটিং লিস্টে থাকা কঙ্কন মণ্ডল, আলমগীর হোসেন, রূপালী বেজ সহ ১২ জন চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলাকারীদের অভিযোগ, স্কুল সার্ভিস কমিশন নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় একটি প্রশ্নের উত্তরে ভুল করায় তারা চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এরপর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন ওএমআর সিট প্রকাশ করে। সেই প্রকাশিত সিট যাচাই করে মামলাকারীদের দাবি তারা সঠিক উত্তর দিয়েছেন।
মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী আদালতে জানান, স্কুল সার্ভিস কমিশন একটি প্রশ্নের ভুল উত্তর করায় সঠিক উত্তর দেওয়া সত্ত্বেও চাকরিপ্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন। আদালত এক নম্বর বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও যে সমস্ত প্রার্থী অতিরিক্ত এক নম্বর পাওয়ার আবেদন করেছে তাদের নম্বর বাড়ায়নি এসএসসি। তবে ওএমআর সিট প্রকাশিত হতেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়। বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের এজলাসে মামলার রায় স্পষ্ট হয়ে যায় যে এই চাকরিপ্রার্থীদের দাবি ন্যায্য।