বহু জল্পনার পর অবশেষে দল বদল করেছেন তিনি। ফিরে এসেছেন নিজের পুরোনো দলে। গেরুয়া শিবির ছেড়ে রাজ্যের শাসক দলে যোগ দিয়েছেন তিনি। বরাবরই দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তিনি। দলবদলের আগেও তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সামলেছেন। মাঝে দু বছরের হাতবদল মাত্র। পদ্ম শিবিরের মোহভঙ্গ হতেই ফের গত রবিবার ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছেন। কথা হচ্ছে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং-এর। সাংসদ পদ থেকে এখনও পদত্যাগ করেননি বটে, কিন্তু ইতিমধ্যেই অর্জুন সিং ফের ফুল বদল করে ঘাসফুল শিবিরে।
আর দলবদলের পরদিনই গুরুদায়িত্ব চাপল তাঁর কাঁধে। জানা যাচ্ছে, তৃণমূল বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব সামলাবেন অর্জুন সিং। সেই কথা পাকাপাকি হতেই মঙ্গলবার রাতেই তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী সাংসদ ও বিধায়কের সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক করেছেন তিনি। যদিও এখনও দলের তরফে সরকারিভাবে তাঁর হাতে সেই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়নি, তবে সেই কাজও দ্রুত সেরে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।
আগামী ৩০ মে শ্যামনগরের অন্নপূর্ণা জুটমিল মাঠে বৈঠক করার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আগামী সভাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই টিটাগড়ের জেলা কার্যালয়ে মঙ্গলবার একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সৌগত রায়, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মন্ত্রী রত্না ঘোষ, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মন্ত্রী সুজিত বসুর সাথে অর্জুন সিংও। এছাড়া ওই বৈঠকে সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক পার্থ ভৌমিকসহ সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত অন্যান্য বিধায়ক নেতারাও যোগদান করেছিলেন বলে খবর। সেই বৈঠক শেষে সৌগত রায়কে অর্জুন সিংয়ের পরবর্তী দায়িত্বের প্রসঙ্গে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে।
বৈঠক শেষে সৌগত রায় বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার প্রস্তুতি হিসেবে এদিনের বৈঠক। বিধায়কদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে। এর সঙ্গে সৌগত রায় জানান, রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা শুধুমাত্র শিল্পাঞ্চল টিটাগড়-ব্যারাকপুর নয়, মতুয়াগড়- বনগাঁতেও খুব শীঘ্রই ঘর ভাঙবে বিজেপির। আর তাই আপাতত বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বই তুলে দেওয়া হবে অর্জুন সিংয়ের হাতে।