অ্যাপোলো ক্যান্সার সেন্টারে ইনসুলার ব্রেন টিউমারের চিকিৎসায় ট্রান্সফরমেটিভ কীহোল পদ্ধতির প্রয়োগ

ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো ক্যান্সার সেন্টারে (এসিসিএস), নিউরোসার্জনের একটি দল অভিনব আইব্রো কীহোল পদ্ধতি ব্যবহার করে মস্তিস্কের ইনসুলার গভীরে বসে থাকা টিউমার অপসারণে সক্ষম হয়েছে। এই অভূতপূর্ব কৌশল, বিশ্বে প্রথম। যা নিউরো অনকোলজির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি চিহ্নিত করে।  এটি মস্তিষ্কের গভীরে থাকা টিউমার অপসারণের জন্য শুধুমাত্র বিকল্প প্রদান করে না বরং ক্লিনিকালি শ্রেষ্ঠত্ব, দক্ষতা এবং নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে। এই যাত্রা শুরু হয় ৪৪ বছর বয়সী একজন মহিলার রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে। তাঁর মস্তিষ্কের ডমিন্যান্ট সাইডের ইনসুলার লোবের সূক্ষ্ম ভাঁজের মধ্যে একটি টিউমার ধরা পরে।  একটি মাইনর ট্রমার পর স্ক্যানের মাধ্যমে ইনসুলা নামে পরিচিত জটিল এলাকায় এই ক্ষত প্রকাশ পায়। ইনসুলা বক্তৃতা দেওয়া এবং চলন গমনের মতো কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।প্রথাগত অস্ত্রোপচার পদ্ধতি মস্তিষ্কের গুরুত্বপূর্ণ টিস্যু এবং রক্তনালীর মধ্য দিয়ে নেভিগেট করতে হয়, সেখানে পক্ষাঘাত, স্ট্রোক এবং ভাষার প্রতিবন্ধকতার মতো ঝুঁকি থাকে।  প্রায়শই, রোগীকে অস্ত্রোপচারের সময় জেগে থাকতে হয়, যা তাদের কষ্ট বাড়িয়ে দেয় এবং খিঁচুনি এবং মস্তিষ্কের ফুসকুড়ির মতো জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়।  এই ঝুঁকি সত্ত্বেও, সার্জারি প্রাথমিক বিকল্পই থেকে যায়।

অ্যাপোলো ক্যান্সার সেন্টারের নিউরোসার্জিক্যাল টিম প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতির থেকে দূরে সরে একটি গ্রাউন্ড ব্রেকিং পদ্ধতির পথপ্রদর্শক। আইব্রো-তে একটি ক্ষুদ্র ছিদ্রের মাধ্যমে এই নতুন কীহোল পদ্ধতির ব্যবহারের পেছনে রয়েছে সূক্ষ্ম পরিকল্পনা, ক্যাডেভারিক ফিসেবিলিটি স্টাডিজ এবং অ্যাডভান্সড কম্পিউটার সিমুলেশন। ডাঃ হৃষিকেশ সরকার, সিনিয়র কনসালট্যান্ট – নিউরোসার্জারি, অ্যাপোলো ক্যান্সার সেন্টার, বলেন, “অ্যাপোলো ক্যান্সার সেন্টারের এই যুগান্তকারী অস্ত্রোপচার পদ্ধতি, নিউরোসার্জারিতে এক নতুন সীমান্ত খুলে দিয়েছে।  আইব্রো কীহোল পদ্ধতি মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে থাকা টিউমারে পৌঁছানোর জন্য একটি রূপান্তরমূলক বিকল্প প্রস্তাব করে, যা আক্রমণাত্মকতা, ক্ষতি হ্রাস করে এবং রোগীর নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে।”

ডাঃ আগ্নেতিয়া বিনোথ, কনসালট্যান্ট – নিউরোসার্জারি, অ্যাপোলো ক্যান্সার সেন্টার, বলেন, “আমরা আইব্রো কীহোল পদ্ধতি ব্যবহার করেছি,যা একটি আউট অব দ্য বক্স কৌশল, যা আমাদের রোগীর জীবনের ঝুঁকি কমিয়ে, সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়।” ডাঃ প্রীথা রেড্ডি, এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারপার্সন, অ্যাপোলো হসপিটালস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, আবেগের সঙ্গে জোর দিয়ে বলেছেন, “অ্যাপোলো ক্যান্সার সেন্টারের উদ্ভাবনের প্রতি অটুট নিবেদন, ভারতীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানকে আবারও বৈশ্বিক মঞ্চে তুলে ধরেছে৷ বিশ্বের প্রথম ট্রান্সফরমেটিভ কীহোল পদ্ধতির ব্যবহার এক মাইলফলক স্থাপন করেছে৷ ইনসুলার ব্রেইন টিউমারের এই নতুন চিকিৎসা শুধুমাত্র আমাদের ডাক্তার, রোগী বা হাসপাতালের জয় নয়;  এটি স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে ক্রমাগত উদ্ভাবন, অন্বেষণ এবং বিকাশের অনুপ্রেরণা।” ক্যান্সার বিজয়ী বলেন, “আমার অস্ত্রোপচারকে কম চ্যালেঞ্জিং করার জন্য এবং দ্রুত পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করার জন্য আমি অ্যাপোলো ক্যান্সার সেন্টারের কাছে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।”