নতুন অভিযোগের কারণে আটকে গেল তার দিল্লি যাওয়া। এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের চেষ্টার মামলায় তাঁকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে দুরবারপুর আদালত৷ পশ্চিম বর্ধমানে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি ফিরেছেন নিজের জেলায়৷ তাঁর রাত কাটে দুবরাজপুর থানায়। সেখানে তাঁর জন্য ছিল বিশেষ বন্দোবস্ত৷ থানারই একটি ঘরে দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই নেতার জন্য পাতা হয়েছিল খাট৷ রাতে সেখানে আরাম করে ঘুমান কেষ্ট৷ সকালে উঠে পুরি-সবজি দিয়ে সারেন প্রাতরাশ৷
আদালতের নির্দেশে আপাতত সাত দিন দুবরাজপুর থানায় পুলিশের হেফাজতে থাকতে হবে অনুব্রতকে। সেখানে আসার পরই চপ-মুড়ি দিয়ে বিকেলের জলখাবার সারেন। অনুব্রত দুবরাজ থানায় রাত্রিবাস কতে পারেন সে কথা আগাম আঁচ করেই একটি ঘরে তাঁর থাকার বন্দোবস্ত করে রাখা হয়েছিল। অব্যবহৃত একটি ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সেখনে খাট পেতে পরিপাটি করে বিছানা করে রাখা হয়। তবে ঘরে একটি সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। যাতে কেষ্টর গতিবিধির উপর নজর রাখা যায়৷
অনুব্রতর জন্য বিশেষ আয়োজন করা হয়েছিল৷ তাঁকে দেওয়া হয় তিনটি আটার রুটি, বেগুনপোড়া এবং ডাল। পুলিশ সূত্রে খবর, অনুব্রত বেগুনপোড়া এবং ডাল দিয়ে মাত্র একটি রুটিই খেয়েছেন৷ তবে তা তৃপ্তি করে৷ তার পরই নতুন পাতা চকচকে বিছানায় শুয়ে নাক ডাকিয়ে ঘুম। সকাল সকাল উঠে চোখ-মুখ ধুয়ে চা আর বিস্কুট খান। প্রাতরাশ তাঁর জন্য আসে পুরি আর সব্জি৷