ইউক্রেনের পরমাণু কেন্দ্রে আবার মিসাইল হামলা।যে কোনও মুহূর্তে চেরনোবিল দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসরে নেমেছেন রাষ্ট্রসংঘের প্রধান অ্যান্তনিও গুতেরেস। ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করা হয় রাশিয়ায়।পাঁচ মাসের লড়াইয়ে রুশ ফৌজ প্রাক্তন সোভিয়েত সদস্যদেশটির একটি বিশাল এলাকা দখল করেছে। ইউক্রেন ও ইউরোপের বৃহত্তম পরমানু কেন্দ্রটিও পুতিন বাহিনীর হাতে। দুই পক্ষের তীব্র লড়াই চলছে এলাকা ঘিরেই।গত শনিবার পারমাণবিক কেন্দ্রটিতে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কেন্দ্রটির তিনটি রেডিয়েশন সেন্সর।এক কর্মীও আহত হয়েছে।
রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত প্রশাসনের দাবি, পারমাণবিক কেন্দ্রে ইউক্রেনের বাহিনী রকেট লঞ্চার দিয়ে হামলা চালায়। এর ফলে কেন্দ্রটির একটি বিল্ডিং ও ব্যবহৃত আণবিক জ্বালানির রাখার একটি গুদাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মার্চে জাপরজাই পরমাণু কেন্দ্রটি রাশিয়ার হাতে পড়লেও সেটি চালাচ্ছেন ইউক্রেনের কর্মীরা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলার নেপথ্যে রাশিয়া রয়েছে বলে পালটা অভিযোগ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রবিবার এক ভিডিও মাধ্যমে তিনি অভিযোগ করেন, ‘আণবিক সন্ত্রাসবাদ’ ছড়াতে চাইছে রুশ ফৌজ।
যে কোনও মুহূর্তে জাপরজাই পরমাণু কেন্দ্রে যেভাবে পরপর মিসাইল হামলা হয়েছে তাতে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে হিরোশিমা ও নাগাসাকির দৃশ্য ফের ইউক্রেনের বুকে ফুটে উঠতে পারে।এমন পরিস্থিতিতে আসরে নেমেছেন রাষ্ট্রসংঘের প্রধান অ্যান্তনিও গুতেরেস। তাঁর কথা, “আণবিক কেন্দ্রের হামলা চালানো আত্মহত্যার শামিল।” সোমবার তিনি জাপরজাই পরমাণু কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দলের তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন।