নেতাজিকে নিয়ে পলিটিক্যাল থ্রিলার সন্ন্যাসী দেশনায়ক

দেশনায়ক নেতাজির রহস্য মৃত্যু নিয়ে আজও ইতিহাসবিদদের ভিন্ন মতামত রয়েছে। অনেক ইতিহাসবিদ এবং রিপোর্ট বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজীর মারা যাওয়াকে সমর্থন করেন। কিছু ইতিহাসবিদ মনে করেন নেতাজী দেশে ফিরে এসে ছদ্মবেশ ধারণ করে থাকছিলেন। এই রহস্যের ওপর এক পলিটিক্যাল থ্রিলার নিয়ে এসেছে এমএ লক্ষ্মী প্রসাদ ফিল্মস। ছবির নাম “সন্ন্যাসী দেশনায়ক”(Sannyasi Deshonayok)।

“সন্ন্যাসী দেশনায়ক” ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ে দেখা যাবে ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, রুমা ভদ্র, শাওন দে, নরেন্দ্র কানজিয়া ও অভিরুপ চৌধুরীর মতো দক্ষ অভিনেতারা ।

ছবির কাহিনীতে দেখা যাবে এক ফিল্ম ইনস্টিটিউটের কয়েকজন ছাত্রদের যারা নেতাজির অন্তর্ধান নিয়ে তথ্যচিত্র বানানোর জন্য তথ্য সংগ্রহ করার জন্য রিসার্চ শুরু করে। এর পর থেকে তাদের সাথে কিছু আশ্চর্য ঘটনা ঘটতে থাকে। তারা একজন সন্ন্যাসী সম্পর্কে  জানতে পারে যিনি উত্তর ভারতে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন। কখনও ফ্ল্যাশব্যাক আবার কখনও বর্তমান, নেতাজির ওপর তাদের এর খোঁজ নিয়েই এই ছবি চলতে থাকে।

সন্ন্যাসী দেশনায়ক (Sannyasi Deshonayok) ছবিটির প্রযোজক দিনেশ প্রসাদ ও বিবেক রায়, ছবিটি পরিচালনা করেছেন অম্লানকুসুম ঘোষ (Amlan Kusum Ghosh) এবং সহকারি পরিচালকের ভুমিকায় আছেন দেবব্রত দত্ত। পরিচালক অম্লানকুসুম ঘোষ জানান, তিনি ছবিটির কাজ ২০১৬ সাল থেকে শুরু করেছিলেন, বারো-তেরো বছর রিসার্চে অযোধ্যা, নৈমিষ অরণ্য, ফৈজাবাদ অঞ্চলে ২০০৬ সাল থেকে বার বার ঘুরে দেখে এসেছেন। মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টও অনুসরণ করেছেন, তাতে ওই জায়গাগুলোয় যে গুমনামী বাবা ছিলেন তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে কিন্তু তিনি নেতাজি কি না তার উত্তর এখনও অজানা। প্রযোজক এবং পরিচালক সিনেমাটির সফলতার বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। শীঘ্রই সিনেমার পর্দায় আসতে চলছে ছবিটি।