এই মুহূর্তে রাজ্যে জুড়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় তোলপাড় পরিস্থিতি। এই দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার প্রাক্তনমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, চলছে তদন্ত৷ গ্রেফতার হওয়ার পরেই দল থেকে সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে৷ বরখাস্ত করা হয়েছে দলের সমস্ত পদ থেকেও৷
এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্ট থেকে দলীয় তহবিলে চাঁদা নেওয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল দল। তৃণমূল পরিষদীয় দল সূত্রের খবর, শীঘ্রই এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হবে, যাতে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে চাঁদার অর্থ কাটা না হয়৷
২০০১ সালে তৃণমূলের টিকেটে প্রথম বার বেহালা পশ্চিম থেকে জিতে বিধায়ক হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এখনও তিনি ওই কেন্দ্রেরই বিধায়ক৷ ২০০১ সাল থেকেই প্রতি মাসে নিজের বিধায়কের বেতন থেকে দলের তহবিলে এক হাজার টাকা করে দিতে শুরু করেন পার্থ।
এর পর তৃণমূল পরিষদীয় দল গঠিত হলে সব বিধায়কদের থেকেই মাসে এক হাজার টাকা করে নেওয়ার রীতি চালু হয়। ২০২১ সালে তৃতীয় বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর বিধায়কদের পার্টি তহবিলে চাঁদার পরিমাণ বাড়িয়ে দু’হাজার টাকা করা হয়।
সব তৃণমূল বিধায়কের মতো পার্থের অ্যাকাউন্ট থেকেও মাসে দু’হাজার টাকা করে চাঁদা কেটে নেওয়া হত। এবার সেই চাঁদা কাটাই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল শাসক দল৷
পার্থ সাসপেন্ড হওয়ার পর তৃণমূলের পরিষদীয় দলের সিদ্ধান্ত, তার কাছ থেকে কোনওরকম চাঁদা নেওয়া হবে না। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর নিজেকে নিষ্কলঙ্ক প্রমাণ করতে পারলে তবেই তাঁকে দলে ফেরার সুযোগ দেওয়া হবে। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে দলে ফিরতে পারলেই চাঁদা নেওয়া শুরু হবে।
এদিকে, পরিষদীয় দলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি এত দিন পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন পার্থ-সহ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। পার্থ মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পরতেই পরিষদীয় দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয় কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। এবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের দায়িত্বও দেওয়া হবে তাঁকে৷