এই মুহূর্তে রাজ্যে উত্তাল পরিস্থিতি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে। নাম জড়িয়েছে একের পর এক। এরই মাঝে প্রকাশ্যে এসেছে দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছিলেন তিনি৷ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ সেই চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী৷ সাড়ে তিন বছর স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন তিনি। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ, চাকরির প্রথম দিন থেকে যে টাকা বেতন হিসাবে পেয়েছেন, তার সবটাই ফেরত দিতে হবে তাঁকে৷ মোট দুটি কিস্তিতে এই টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অঙ্কিতাকে৷ সাড়ে তিন বছরে কত টাকা বেতন হিসাবে পেয়েছিলেন তিনি?
কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় সূত্রে খবর, প্রায় সাড়ে তিন বছর এই স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন অঙ্কিতা৷ শনিবার দিনভর মন্ত্রীকন্যার ৪১ মাস চাকরি-জীবনের হিসাবনিকাশ করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ হিসেব বলছে, এই ক’বছরে সব মিলিয়ে অন্তত ১৬ লক্ষ টাকা বেতন পেয়েছেন অঙ্কিতা। আদালতের নির্দেশ মেনে দুই কিস্তিতে এই টাকা ফেরত দিতে হবে তাঁকে। অঙ্কিতার প্রথম মাসের বেতন ছিল ৩৮ হাজার ৬০০ টাক৷ গত মাসে তিনি পান ৪৭ হাজার ৫৬ টাকা৷
২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক হিসাবে চাকরিতে যোগ দেন অঙ্কিতা। চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ওই স্কুলে চাকরি করেছেন তিনি। এসএসসি চাকরিপ্রার্থী ববিতা সরকারের দায়ের করা মামলায় শুক্রবার অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তফশিলি জাতির প্রার্থী তালিকায় প্রথম নাম ছিল এই ববিতা বর্মনের৷ অদ্ভূত ভাবে ওই তালিকায় প্রথম স্থানে উঠে আসে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম৷ ববিতা চলে যায় দ্বিতীয় স্থানে৷ ববিতার চেয়ে কম নম্বর পেয়ে কী ভাবে প্রথমস্থানে অঙ্কিতার নাম উঠে এল তা নিয়েই মামলা হয় হাই কোর্টে৷
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, গত ৪১ মাস ধরে অঙ্কিতা যা বেতন পেয়েছেন, তা দুই কিস্তিতে হাই কোর্টের রেজিস্টার জেনারেলের কাছে জমা দিতে হবে৷ আগামী ৭ জুন প্রথম কিস্তি এবং দ্বিতীয় কিস্তি দিতে হবে আগামী ৭ জুলাই।