লক্ষ্য এখন একটাই, আগামী নির্বাচন। চারিদিকে ভোটার দামামা বেজে গিয়েছে৷ তৎপরতা তুঙ্গে৷ এরই মাঝে জিটিএ’র মাধ্যমে আদতে কী, এই বিষয়টি এদিন স্পষ্ট করলেন গোর্খাল্যান্ড আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান অনিত থাপা। তিনি জানিয়েছেন, পৃথক গোর্খাল্যান্ড নয়, জিটিএর মাধ্যমে পাহাড়ের উন্নয়নই এখন তাঁর প্রধান লক্ষ্য। রাজ্য বিধানসভা ভবনে আজ জিটিএ পরিচালনা সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন।
তিনি জানান, জিটিএ-র হাতে বিভিন্ন দফতর হস্তান্তর, পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোট, জিটিএ এলাকার জন্য আলাদা শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন, পৃথক আইসিডিএস নীতি তৈরির মতো বকেয়া ও নীতিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আর এই বিষয়গুলির দ্রুত নিষ্পত্তি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়াও পেয়েছেন তিনি। তবে পাহাড়ের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কোনও আলোচনা হয়নি বলে অনিত থাপা দাবি করেছেন।
এদিকে বিমল গুরুং, বিনয় তামাং এবং অজয় এডওয়ার্ডসের দল ফের জোট বেঁধে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সরব হয়েছে। এই বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখছেন না অনিত থাপা। তাই তাদেরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। অনিত বলেন, পাহাড়ের মানুষের প্রধান দাবি উন্নয়ন। তবে এই প্রেক্ষিতে তিনি গোর্খাল্যান্ড নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা অবশ্য জল্পনা উদ্দীপক। অনিতের কথায়, গোর্খাল্যান্ড দেওয়ার ক্ষমতা রাজ্য সরকারের নেই, যারা দাবি তুলছেন তাদের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যাওয়া উচিত।