কোচবিহার: কথায় আছে রাজার শহর কোচবিহার দীর্ঘদিন আগেই চুকে গিয়েছে রাজার রাজপাট। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা রাজার মন্দিরগুলো প্রাচীন ইতিহাসের স্বাক্ষর বহন করে। কোনোটির বয়স ১০০ বছর তো কোনোটির বয়স ৫০০ বছরের বেশি। কোচবিহার থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তুফানগঞ্জ এর মারুগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের অয়রানি চিতলিয়া গ্রাম। আর সেই গ্রামেই রয়েছে রাজ আমলের প্রাচীন চন্ডী মন্দির। প্রতিদিন এই মন্দিরে পুজো দিতে ভিড় জমান দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভক্তরা।
প্রত্যেক বছর পহেলা বৈশাখে বাৎসরিক পুজো হয় এই মন্দিরে। প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন এই মন্দির। প্রাচীন এই চন্ডীমন্দির প্রতিষ্ঠার আড়ালে লুকিয়ে আছে বহু প্রচলিত একটি জনশ্রুতি। একসময় এইসব এলাকা ছিল জঙ্গলে ঘেরা, কোচবিহারের কোচ বংশের রাজারা প্রায়শই আসতো এখানে স্বীকার করতে। ঠিক সেই মতো রাজারা স্বীকার করতে আসার সময় বিশ্রাম নেওয়ার পর তার হাতির দল সেখান থেকে না ওঠায় মা মঙ্গলচন্ডীর আরাধনা করার পর হাতির দল সেখান থেকে ওঠে।
এরপরই সেখানে মন্দির প্রতীক্ষিত করে মা মঙ্গলচন্ডীর পুজো শুরু করেন কোচবিহারের রাজারা। বর্তমানে দেবত্র ট্রাস্টবোর্ডের অধীনে রয়েছে এই মন্দিরটি। দেবত্র ট্রাস্টবোর্ডের অধীনে থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে মন্দিরের বেহাল দশা মন্দিরের প্রাচীর এমনটি মন্দিরে নিরাপত্তা না থাকায় চুরি হয়ে যায় মন্দিরের একাধিক সামগ্রী। তাই দ্রুত মন্দির নির্মাণসহ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি তুলছেন মন্দিরের পুরোহিত সহ স্থানীয় বাসিন্দারা।