পুরস্কার দেওয়ার বিরুদ্ধে অনাদিরঞ্জন

পুরস্কার নিয়ে বাদল বিবাদ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলা আকাদেমির বিশেষ সম্মান ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে৷ ‘কবিতাবিতান’ বইয়ের জন্য পুরস্কার ঘিরেই এই বিতর্ক৷ রত্না রশিদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবাদের পর এবার ইস্তফা দিলেন অনাদিরঞ্জন বিশ্বাস৷ সাহিত্য আকাদেমির বাংলা উপদেষ্টা পরিষদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি৷ তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীকে যে পুরস্কার দেওয়া হল তা স্বজনপোষণ৷

এ প্রসঙ্গে কবি সুবোধ সরকারের দাবি, সব পুরস্কার নিয়েই বিতর্ক থাকে৷ যখন চার্চিল নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন, তখনও তর্ক হয়েছিল৷ কোনও পুরস্কারই তর্কাতীত নয়৷ ‘এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া এক জনও এই পুরস্কারের যোগ্য হয়ে থাকলে দেখান৷ যাঁরা এই পুরস্কার দিয়েছেন তাঁরা সকলেই প্রতিথযশা সাহিত্যিক৷’ মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলা আকাদেমির বিশেষ সম্মান বিতর্কে এমনই মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর৷

এদিন অনাদিরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘‘এখনকার সাহিত্যিকদের সঙ্গে এক সঙ্গে মিটিংয়ে ওঠাবসা করা আমার পক্ষে বোধ হয় সম্ভব নয়৷ সেকারণেই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি কলকাতায় বাংলা উপদেষ্টা বোর্ড থেকে ইস্তফা দেব৷ এটা আমার নৈতিক কর্তব্য৷ আমি রবীন্দ্রনাথকে ভালোবাসি৷ তাঁকে দেবতা জ্ঞানে পুজো করি, রবীন্দ্রনাথের কবিতাই আমার বেঁচে থাকার রসদ৷ সেই কবিতা নিয়ে যদি ছেলেখেলা হয়, তাহলে পদত্যাগ করা আমার নৈতিক দায়৷’’

রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, জনমনে প্রতিষ্ঠিত, যাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে এই পুরস্কার দিলেন, তাঁরা চাটুকারিতা এবং নির্লজ্জতার সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গিয়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রীকে এই পুরস্কার দিয়ে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর পদ মর্যাদা ও মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারকে অসম্মানিত করেছেন৷