আলিপুরদুয়ারের কামাখ্যাগুড়ির বাসিন্দা কলকাতা পুলিশের এএসআই অমিত ভাওয়ালকে মরনোত্তর জীবনরক্ষা পদক প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সরকার

প্রায় এক বছর আগে কোলকাতার স্ট্যান্ড রোডে হেয়ারস্ট্রিট থানার কয়লাঘাট ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় আগুনের লেলিহান শিখায় আটকে পড়া জনতাকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আলিপুরদুয়ারের কামাখ্যাগুড়ির বাসিন্দা কলকাতা পুলিশের এএসআই অমিত ভাওয়ালের । আর তাঁকেই এবার মরনোত্তর জীবনরক্ষা পদক প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সরকার। অমিত পাড়ার আর পাঁচজনের থেকে সে বরাবরই ছিল একটু আলাদা, একজন ভাল ছাত্র হিসেবে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছে এবং পাড়ায় সে ছিল স্নেহের পাত্র, কামাখ্যাগুড়ির দক্ষিণ নারারথলী গ্রামের অমিত।

নিয়মিত শরীর চর্চা এবং খেলাধুলা করতো। কোথাও কেউ বিপদে পড়েছে শুনলেই সবার আগে ছুটে গিয়ে বিপদগ্রস্তকে উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতো। একেবারে ছেলেবেলা থেকেই তাঁর এই স্বভাবের জন্যে সবার কাছেই প্রিয় হয়ে উঠেছিল সে। প্রচন্ড সাহসী অমিত নিজের জীবনের কথা না ভেবে মানুষের বিপদের আপদে ঝাপিয়ে পরতো সবসময় । কামাখ্যাগুড়ি মিশন হাইস্কুলের মেধাবী ছাত্র, আলিপুরদুয়ার কলেজের স্নাতক অমিত ভাওয়াল, অকালে বাবাকে হারিয়ে সংসারের তীব্র অভাব অনটনের জন্যে চাকরির জন্যে উঠে পড়ে লাগে, পুলিশের চাকরিটাই সব চাইতে বেশী পছন্দের ছিল ওঁর। তাই নিয়মিত পুলিশের চাকরির পরীক্ষা দিত, শেষে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবলের চাকরিতে যোগ দেয়।

নিজের কর্মস্থলেও সে তাঁর সেই স্বভাব পালটায় নি একটুও, কেউ বিপদে পরেছে দেখলেই তাঁকে উদ্ধারের জন্যে ঝাপিয়ে পরেছে, তাঁর এই ধরনের কাজের জন্যে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিক পুরস্কার পেয়েছে সে । গতবছর মার্চ মাসের আট তারিখে কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানার কর্তব্যরত এ এস আই অমিত স্ট্র‍্যাণ্ড রোডের রেলের নিউ কয়লাঘাট ভবনে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নিজের জীবন বিপন্ন করে বহুতলে আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে গিয়ে মৃত্যু বরণ করেছিল। ওঁকে এবছর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সর্বত্তোম জীবন রক্ষা পদক (মরণোত্তর) দেওয়া হচ্ছে জেনে গর্ব অনুভব করছে অমিতের পরিবার সহ পুরো জেলাবাসী।