অতিমারী পরিস্থিতির মাঝেই কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট বাড়ছে জল্পনা

আবার নতুন করে চিন্তা বাড়িয়ে বেড়ে চলেছে সংক্রমণ। জানা গিয়েছে, চিনে প্রতি দিন কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রায় সাড়ে ৩ কোটি মানুষ। এসবের মাঝেই আবার সংবাদ শিরোনামে চলে এসেছে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট যাতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নামার পরেই ব্রিটেনে তালা ঝোলানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন ঋষি সুনক। কিন্তু বর্তমানে যা অবস্থা তাতে বোঝা যাচ্ছে সেই সতর্কতা নিয়েও কিছুই করতে পারেনি বেজিং সরকার। অন্যদিকে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট নিয়ে যে আলোচনা শুরু হয়েছে নতুন করে তাও অনেক কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে।

আসলে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটগুলিতে পড়াশোনা হয় শুধুমাত্র চিনা ভাষায়। বিশ্বের একাধিক দেশে এই প্রতিষ্ঠান থাকলেও সবথেকে বেশি রয়েছে ব্রিটেনেই। চিনের দাবি, নিজেদের ভাষা, শিল্পকলা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রসারের উদ্দেশ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটগুলি। কিন্তু সমালোচকদের বক্তব্য, বিভিন্ন দেশে চিন সরকারের প্রচার করে এই প্রতিষ্ঠান। দাবি করা হয়েছে, কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে বেজিং।

তবে তার থেকেও বড় অভিযোগ, চিনের অতিমারি পরিস্থিতির ‘আসল তথ্য’ ধামাচাপা দেওয়ার কাজও করে এই শিক্ষা সংস্থা। তাই এখন যখন আবার চিনের কোভিড পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে, তাই আশঙ্কা অতিমারির এই ভয়াবহতাকে আবার ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করবে এই কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট। কিন্তু এই মুহূর্তে বিশ্বের নানা জায়গায় এই প্রতিষ্ঠানের দরজায় তালা ঝোলানো হচ্ছে।