বিস্ফোরক মন্তব্য অমরিন্দরের

আবার একবার খবরের শিরোনামে পাঞ্জাব। দল ছেড়ে দেওয়ার পরেও বজায় রয়েছে বিতর্ক। কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক চুকে গিয়েছে অনেকদিন হল। দল ছেড়ে অমরিন্দর সিং পঞ্জাব লোক কংগ্রেস গঠন করেছেন। আর এটা সকলেই জানেন যে তাঁর কংগ্রেস ছাড়ার পিছনে সবথেকে বড় কারণ ছিল নভজ্যোত সিং সিধুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি। সেই সিধু সম্পর্কেই এবার বড় মন্তব্য করলেন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, সিধুকে মন্ত্রী করার অনুরোধ এসেছিল পাকিস্তান থেকে, আর সেটা করেছিলেন খোদ পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

পঞ্জাব নির্বাচনের আসন রফা নিয়ে বিজেপির সঙ্গে বৈঠক করতে এদিন নয়াদিল্লি এসেছিলেন অমরিন্দর সিং। সেখানে এসে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি সিধুর ব্যাপারে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। অমরিন্দর জানান, সিধুকে যাতে মন্ত্রিসভায় নেওয়া হয়, মন্ত্রী করা হয় তার জন্য পাকিস্তান থেকে ফোন এসেছিল তাঁর কাছে। খোদ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তরফে সেই ফোন এসেছিল বলেই জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি এও জানান, এমন একজন ফোন করেছিলেন যে তাঁকে চেনে আবার সিধুকেও। কিন্তু সেই ব্যক্তি কে, তা স্পষ্ট করেননি ক্যাপ্টেন। তবে তিনি দাবি করেছেন, যে তাঁকে বলা হয়েছিল, সিধুকে মন্ত্রী করতে। মন্ত্রী হয়ে যদি কাজ না করে তাহলে তাঁকে বের করে দিতে। উল্লেখ্য, এদিন বিজেপির সঙ্গে বৈঠক ঠিক হয়েছে যে, পঞ্জাবে ৬৫ আসনে লড়াই করবে বিজেপি এবং ৩৭ আসনে লড়বে পঞ্জাব লোক কংগ্রেস।

প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার কারণ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নয়। তার কারণ শ্রী গুরু রবিদাসের জন্মজয়ন্তী। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি শ্রী গুরু রবিদাসের জন্মজয়ন্তীর জন্য পঞ্জাবের প্রচুর মানুষ বারাণসীতে যান। তাই সেই দিন ভোট হলে অনেকেই ভোট দিতে পারবেন না। এই কারণেই বিধানসভা ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বলে জানিয়েছে তারা। আর সেই দাবি মেনেই ভোট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ তারিখের পরিবর্তে ২০ তারিখ ভোট হবে বলে জানান হয়েছে। ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে ২৫ জানুয়ারি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন ১ ফেব্রুয়ারি। পরের দিন স্ক্রুটিনি করা হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন ৪ ফেব্রুয়ারি।