ত্রিপুরা মামলায় বড়োসড়ো স্বস্তি মিলল রাজ্যের শাসক দলের

এযাবৎকাল খবরের শিরোনামে ত্রিপুরা। ত্রিপুরা জয়ই এখন মূল লক্ষ্য রাজ্যের শাসক শিবিরের। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল ত্রিপুরা যাওয়ার পর থেকেই আলোড়ন শুরু হয়। এই নিয়ে বিগত কয়েকদিন উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ত্রিপুরায় যা সবারই জানা। বারংবার তাঁদের কর্মসুচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ জানায় ঘাসফুল শিবির। অন্যদিকে, খোয়াই থানায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করে ত্রিপুরা প্রশাসন। সেই অভিযোগকেই চ্যালেঞ্জ করে ত্রিপুরা হাইকোর্টে মামলা করেছিল তৃণমূল। এবার সেই মামলাতেই বড় স্বস্তি পেল তারা। রাজ্যের শাসক শিবিরের সাথেই রায় গেলো আদালতের। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিল, এই মামলায় নতুন করে কাউতে নোটিস দেওয়া যাবে না।

ত্রিপুরা হাই কোর্টের রায়ে স্বস্তিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় -সহ পাঁচ তৃণমূল নেতা। তাঁদের বিরুদ্ধে খোয়াই থানায় দায়ের হওয়া মামলায় স্থগিতাদেশ দিল আদালত। ফলে ওই মামলায় পুলিশ আর তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে না। পাঠানো যাবে না নোটিশও। পুজো পর্যন্ত করা যাবে না জিজ্ঞাসাবাদও। 

প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকবার তৃণমূলের মিছিলে অনুমতি দেয়নি ত্রিপুরা পুলিশ। ১৫ তারিখ রবীন্দ্র ভবন থেকে চৌমোহিনী পর্যন্ত পদযাত্রা করার কর্মসূচি ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ কিন্তু পুলিশ অন্য রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির কথা বলে তৃণমূলের সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে দেয়। এর পর তৃণমূলের তরফে ১৬ তারিখ পদযাত্রা করার অনমুতি চাওয়া হয়৷ সেটাও মেনে নেয়নি ত্রিপুরা পুলিশ। ফের ২২ সেপ্টেম্বর পদযাত্রার করার অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু তাতেও বরফ গলেনি। তার জন্য হাইকোর্টের দারস্থ হয় তৃণমূল। কিন্তু তাঁদের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু খোয়াই থানায় যে মামলা হয়েছিল তার প্রেক্ষিতে তৃণমূল জানিয়েছিল যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এই মামলার শুনানিই জানিয়েছে আদালত।