অর্জুন সিংকে দল বাড়াবার জন্য বিজেপিতে আনা হয়েছিল। সব তো পালিয়ে গেল। উনিও শেষে পালিয়ে গেলেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পরামর্শকে গ্রাহ্য না করে অর্জুন সিংয়ের কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ। মূলত, এক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে সতীর্থদের সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্যের জেরে দিলীপ ঘোষের মুখে কার্যত লিউকোপ্লাস্ট মারতে চেয়ে তাঁর উদ্দেশ্যে চিঠি পাঠিয়েছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং। সেখানে লেখা ছিল আপনি প্রকাশ্যে রাজ্যে দলের উচ্চপ্রদস্ত পদাধিকারীদের সমালোচনা করেছেন। এই ধরনের মন্তব্য শুধুমাত্র দলেরই ক্ষতি করে না, বরং আপনি অতীতে যে কঠিন পরিশ্রম করেছেন, সেগুলিকেও মূল্যহীন করে দেয়, পাশাপাশি সর্বভারতীয় সহ সভাপতির মতো পদে থেকে এই ধরনের মন্তব্য দলের মধ্যে সর্বস্তরে ক্ষোভের সঞ্চার করে, যা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু এদিন অর্জুন সিংয়ের কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ অবশ্য কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি নিজের অবস্থানে অনড়, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
উল্লেখ্য বিজেপির উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে অর্জুন সিং জানিয়েছিলেন, “বিজেপিতে যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁদের অনেকেই কাজের না। সংগঠনের দায়িত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে কে কতটা শিক্ষিত তা দেখে লাভ নেই। কী স্ট্র্যাটেজি রয়েছে তার, সেটাই দেখতে হবে। বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। এমনি সময় সবাই ঐক্যবদ্ধ দেখালেও ভোটের সময় অনেকে ভোট দিতে যায় না। ভোটের সময় বেইমানি করে। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, “সোশ্যাল মিডিয়াতে রাজনীতি করে বড়ো নেতা হতে চায় বঙ্গ বিজেপির অনেকে। কিন্তু হোয়াটস অ্যাপ আর ফেসবুকে রাজনীতি করে এখানে সংগঠন করা যাবে না। বাংলায় রাজনীতি করতে হলে তৃণমূলস্তরে নেমে রাজনীতি করতে হবে।”