দেশের দৈনিক সংক্রমকে রোখা গেলেও কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না মৃত্যুর সংখ্যাকে

কিছুতেই কমছে না দেশবাসীর উদ্বেগ। দেশের দৈনিক সংক্রমণ এবং সংক্রমণের হার আগের তুলনায় কমলেও এখনও প্রায় লাগামছাড়া দৈনিক মৃত্যু। আজ প্রায় ১ হাজার ২০০-র কাছাকাছি এই সংখ্যা যা অবশ্যই দুশ্চিন্তার! তবে দৈনিক সংক্রমণের হার আজ কিছুটা কমেছে তুলনায়। অনেক দিন পর আজ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ হাজারের নীচে। সব মিলিয়ে দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি একটু একটু করে হয়তো ভাল জায়গায় ফিরছে কিন্তু কাঁটা সেই মৃত্যুই। ওমিক্রন প্রজাতি নিয়েও একটা চাপা আতঙ্ক রয়ে গিয়েছে, কারণ তার সাব ভ্যারিয়েন্ট অনেক দেশে ছেয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। আবার চলতি টিকাও তা ঠেকাতে পারবে না বলেই অনুমান।

শেষ পাওয়া তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭ হাজার ৫৯৭ জন। যা সোমবারের তুলনায় ১৯.৪ শতাংশ কম। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের করোনা সংক্রমণের হার কমে হয়েছে ৫.০২ শতাংশ। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৮৮ জনের! পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৩ লক্ষ ৩৯ হাজার ৬১১ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ০৪ হাজার ০৬২ জনের। এদিকে এখনও পর্যন্ত দেশের মোট টিকাকরণ হয়েছে ১৭০ কোটি ২১ লক্ষ ৭২ হাজার ৬১৫ ডোজ, গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ৫৫ লক্ষ ৭৮ হাজার ২৯৭ ডোজ। পাশাপাশি দেশের সুস্থতার হার এখনও রয়েছে ৯৫ শতাংশের ওপরেই।

সম্প্রতি আবার ‘নেচার’ পত্রিকায় একাধিক বিশেষজ্ঞ সাক্ষাতকার দিয়েছেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ওমিক্রন রোধে কার্যকর টিকা পেতে গেলে আরও অপেক্ষা করতে হবে। চলতি বুস্টার ডোজ এই প্রজাতিকে ঠেকাতে পারবে না। ওমিক্রন রুখতে চাই নতুন টিকা। তাই ইতিমধ্যেই নতুন টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছে ফাইজার, বায়োএনটেকের মতো টিকা সংস্থা। তাঁদের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, ওমিক্রন প্রজাতি নিয়ে এখনও বিস্তর গবেষণা বাকি যা চলছে। তাই এই মুহূর্তে এই প্রজাতি নিয়ে অসচেতন হওয়ার সময় একদম আসেনি। যে কোনও সময়েই এটি ভয়ানক রূপ নিয়ে নিতে পারে। আর তা হলে অবশ্যই জটিল অবস্থার সৃষ্টি হবে আবার।