ভাল ছবি তৈরি হলেও  বড় বাজেটের ছবি  তৈরি হয় না বাংলায়

 ভাল ছবি তৈরি হলেও, বাংলায় বড় বাজেটের ছবি কেন তৈরি হয় না, তা নিয়ে নানা অভিযোগ-অনুযোগ শোনা যায়। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে সিনেমা হলের সংখ্যা যে অনেকটাই কম, বারং বার তা বিভিন্ন আলোচনায় উঠে এসেছেন। টলিগঞ্জের নায়ক-নায়িকা, প্রযোজক-পরিচালক সকলেই বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেছেন। এবার তার সুরাহা করতে উদ্যোগী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন রাজ্যের সব জেলায় একটি করে শপিং মল  হবে, যেখানে সিনেমা হল থাকবে। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। সেখানেই প্রত্যেক জেলায় শপিং মল এবং সিনেমা হল তৈরির ঘোষণা করেন তিনি। মমতা জানান, কলকাতায় যেমন শপিং মল, বিগবাজার রয়েছে, প্রত্যেক জেলার সদর দফতরেও একটি করে শপিং মল তৈরি করা হবে, যেখানে সিনেমা হলও থাকবে। শপিং মল তৈরির জমিও সরকার বিনামূল্যে দেবে। মমতা এদিন বলেন, “জমিটা আমাদের হবে। কিন্তু টেন্ডারের মাধ্যমে দেওয়া হবে, ফ্র্যাঞ্চাইজি হবে। জমিটা আমরা ফ্রিতে দেব। এক একর করে জমি দেওয়া হবে। যিনি করবেন, আমাদের একটাই লক্ষ্য। প্রথম দু’টো ফ্লোর স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠী, শিল্পীদের দিতে হবে। মেলা ছাড়া সারাবছর জিনিস বিক্রির জায়গা পায় না ওরা। তাঁদের কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত।”

মমতা জানিয়েছেন, শপিং মলের বাকি ফ্লোর গুলিতে সিনেমা হল, ক্যাফেটেরিয়া, রেস্তরাঁ করা যেতে পারে। শহরের মলগুলির মতো সেখানেও নানা ব্র্যান্ডের জামাকাপড়, জিনিপত্র বিক্রি করা যাবে। সিনেমাহলের প্রসঙ্গে মমতার বক্তব্য, “জেলার অনেকেই সিনেমা দেখতে ভালবাসেন। কিন্তু তাঁদের হল নেই। টলিউডও এতে উপকৃত হবে।”মমতা জানিয়েছেন, বাঁকুড়া টাউন হয়ে আসার সময় এক শিশু তাঁর হাতে একটি কাগজ ধরিয়ে দেয়। তাতে লেখা ছিল, ‘দিদি আমাদের এখানে শপিং মল হবে না?’ এর পরই বিষয়টি মাথায় আসে তাঁর। মমতা জানিয়েছেন, জমি ইতিমধ্যেই বাছাই করা হয়ে গিয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া মেনেই গোটা বিষয়টি সম্পন্ন হবে। এতে জেলার মানুষের আয়ের সুযোগ বাড়বে, আবার মনোরঞ্জনও হবে। মমতার এই ঘোষণা টলিউডের জন্য নিঃসন্দেহে ভাল খবর। কারণ এযাবৎ বার বার করে আরও সিনেমা হলের প্রয়োজনীয়তার কথা বলতে শোনা গিয়েছে তারকা-শিল্পীদের। তৃণমূলের তারকা সাংসদ দেব নিজেও ‘খাদান’ মুক্তির সময় সিনেমা হলের সংখ্যা কম হওয়া নিয়ে কথা বলেন। তাঁদের বলতে শোনা যায়, বেশি সংখ্যক সিনেমা হল থাকাতেই মুম্বই বা দক্ষিণের ছবি মোটা টাকার ব্যবসা করে। এর ফলে বড়় বাজেটের ছবি তৈরির সুযোগও বাড়ে। গুণমান বাড়ে ছবির। বাংলায় সিনেমা হলের সংখ্যা বাড়লে তাঁদেরও পরীক্ষা নিরীক্ষার সুযোগ বাড়বে বলে বার বার জানিয়েছেন টলিউডের শিল্পীরা। এদিন সেই ঘোষণাই করলেন মমতা।