বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা কামনায় রবিবার বিশ্বজুড়ে ‘শান্তিপ্রার্থনা’ এবং কীর্তনের আয়োজন করছে ইসকন। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠে এসেছে। সম্প্রতি ইসকনের প্রাক্তন সদস্য চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। খারিজ হয়েছে জামিনের আবেদন। আগামী বুধবার পুনরায় তাঁকে চট্টগ্রামের আদালতে পেশ করা হবে। চিন্ময়ের গ্রেফতারির পর থেকে প্রতিবাদের স্বর আরও জোরালো হয়েছে। এই আবহে ও পার বাংলায় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য রবিবার দেশে দেশে ‘শান্তিপ্রার্থনা’ এবং কীর্তনের আয়োজন করছে ইসকন। ভারত, বাংলাদেশ-সহ এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকার বিভিন্ন প্রান্তে ইসকনের মন্দির রয়েছে। ভক্তদের নিকটবর্তী ইসকন মন্দিরে ‘শান্তি প্রার্থনা’য় সামিল হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে ইসকন।
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে। এই আবহে বেশ কিছু ধর্মীয় সংগঠন মিলিত ভাবে তৈরি করে সনাতনী জাগরণ মঞ্চ। যার অন্যতম মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ। তিনি আগে ইসকনের সদস্য ছিলেন। শৃঙ্খলাভঙ্গে কারণে মাস খানেক আগেই তাঁকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ ইসকন। তবে চিন্ময়ের গ্রেফতারির পর প্রাক্তন সদস্যের প্রতি সংহতি জানিয়েছে ইসকন বাংলাদেশ। ইসকন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “চিন্ময়কৃষ্ণের অধিকার, বাংলাদেশে হিন্দুদের এবং তাঁদের ধর্মীয় স্থানগুলি রক্ষার জন্য তাঁর প্রচেষ্টাকে ইসকন সমর্থন করে। তাঁর থেকে দূরত্ব তৈরি করা হয়নি।”