কবিরাজ সেজে বাড়িতে ঢুকে অষ্টম শ্রেণীর এক আদিবাসী নাবালিকাকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠলো এক যুবকের বিরুদ্ধে ঘটনাটি ঘটেছে দিনহাটার সীমান্ত গ্রাম বামনহাট ২ এলাকায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ।জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য সংবাদ মাধ্যমকে জানান যে এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ,আজ তাকে দিনহাটা মহকুমা আদালতে তোলা হবে।পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বামনহাট টু এলাকার ১৪ বছর বয়সী অষ্টম শ্রেণীর এক আদিবাসী নাবালিকা তার মায়ের সঙ্গে বাড়িতে থাকেন।বাবা ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন।মঙ্গলবার বিকেলে অন্যান্য দিনের মতো মায়ের সঙ্গে বাড়িতেই ছিলেন ওই নাবালিকা।সেই সময় হঠাৎ করে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের পার্শ্ববর্তী এলাকার এক যুবক ওই নাবালিকার বাড়িতে কবিরাজ সেজে আসেন।এরপর নাবালিকা ও তার মাকে বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে নাবালিকা মেয়েটিকে কবিরাজি করার নামে ঘরে নিয়ে যায়।এরপর ঘরের দরজা বন্ধ করে মেয়েটির উপর অত্যাচার চালায় ওই যুবক বলে অভিযোগ।মেয়ের চিৎকার শুনতে পেয়ে তার মা মেয়েকে বাঁচাতে পাড়া-প্রতিবেশীকে ডাকতে থাকেন।ঠিক তখন ওই যুবক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এরপর রাতে সাহেবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই নিগৃহীত আদিবাসী নাবালিকার পরিবার।লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্ত যুবককে রাতেই গ্রেফতার করে।সেই ঘটনায় বামনহাট টু এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে নিগৃহীত নাবালিকার উপর অত্যাচার চালানো অভিযুক্ত যুবকের শাস্তির দাবি জানান।রাস্তা অবরোধের খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ এবং প্রায় এক ঘন্টা অবরোধের পর পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে দেয় এলাকাবাসী।