গোটা রাজ্য জুড়ে বারংবার প্রকাশ্যে এসেছে শাসকদলের কোন্দল। খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং একাশ নেতারা একাধিকবার নির্দেশ দিয়েছেন একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার কথা।
তবে সেই কথা যে নীচু তলার কর্মীরা কর্ণপাত করছেন না। মালদা জেলার চাঁচল বিধানসভার কুশিদা অঞ্চলে কোনমতেই তৃনমূলের গোষ্ঠী কোন্দল মিটছে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই এগিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হয়ে ওঠছে কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত। কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান মহম্মদ নুর আজম অঞ্চল সভাপতি হতেই বুথে বুথে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার অঞ্চল সভাপতি নুর আজমের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ও ছবিতে প্রকাশ্যে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন হুসেনপুর বুথের শতাধিক তৃনমূল কর্মী।
বিক্ষোভকারী তৃনমূল কর্মীদের অভিযোগ, অঞ্চল সভাপতি তথা উপ প্রধান নুর আজম দলে বিভীষণ হয়ে কাজ করছে। এলাকায় বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দলের ক্ষতি করে চলেছে। বুথে বুথে তৃনমূল কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগানোর চেষ্টা করছে। তার নামে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাকেই আবার দ্বিতীয়বারের জন্য করা হয়েছে অঞ্চল সভাপতি। এই দুর্নীতিগ্রস্ত অঞ্চল সভাপতিকে তারা মানবেন না বলে জানান।
ব্লক কমিটির সদস্য অলোক পদ্দার জানান, পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে এলাকায় তার ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করে চলেছে অঞ্চল সভাপতি নুর আজম। তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা আরোপ লাগিয়ে এলাকা উত্তপ্ত করতে চাইছে অঞ্চল সভাপতি। অঞ্চল সভাপতি নিজেই একজন দুর্নীতিগ্রস্ত। হাসপাতাল, পঞ্চায়েত ও পিএইচই দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নাম করে এলাকা থেকে টাকা তুলে রেখেছে। তার নামে দুই দুইটি জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে চলছে। নিজের দুর্নীতির ঢাকতে এই ধরনের ষড়যন্ত্র করছে অঞ্চল সভাপতি নুর আজম বলে অভিযোগ।
অঞ্চল সভাপতি নুর আজম জানান,তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন। আলোক পদ্দারের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে তাই অঞ্চল সভাপতি ও বিধায়কের নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে এলাকায় বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করছে।