সারা বিশ্বের চিন্তা এখন তালিবান গোষ্ঠী। গঠিত হয়েছে তালিবান সরকার। দেশ চালাবে সব কুখ্যাত জঙ্গি। তালিবান শীর্ষ নেতাদের ঘাড়েই দেশের শাসনভার রেখেছে। আফগানিস্তানের মসনদে তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ঘনিষ্ঠ মোল্লা হাসান আখুন্দকে বসানো হয়েছে। আর নতুন সরকার গঠনের অনুষ্ঠানে পাকিস্তান, চিন, রাশিয়া, কাতার, তুরস্ক ও ইরানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তালিবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ। তালিবানের আমন্ত্রণ তালিকায় নাম নেই ভারতের। কিন্তু তালিবান মন্ত্রিসভায় একাধিক কুখ্যাত জঙ্গি সদস্যের নাম শুনে সিঁদুরে মেঘ দেখছে আমেরিকা। তাই মার্কিন বিরোধী সন্ত্রাসী কার্যকলাপের আশঙ্কা করছে ওয়াশিংটন ডিসি।
মোল্লা হাসান আখুন্দ থেকে শুরু করে বরাদর, প্রত্যেকেই তালিবান হাইকম্যান্ডের অংশ। কিন্তু কারওরই ট্র্যাক রেকর্ড ভাল নয়। তালিবান মন্ত্রিসভায় শামিল করা হয়েছে হাক্কানি জঙ্গিগোষ্ঠীর সিরাজউদ্দিন হাক্কানিকে। যে কি না মার্কিন সন্ত্রাসী তালিকায় মোস্ট ওয়ান্টেড। হাক্কানিকে অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী পদে বসিয়েছে তালিবান।
গতকাল তালিবান সুপ্রিম লিডার হিবায়তুল্লা আখুন্দজাদা ১৫ অগস্টের পর প্রথম প্রকাশ্য বার্তায় ঘোষণা করেছেন, তালিবান সবরকম আন্তর্জাতিক সমঝোতা, আইন মেনে চলবে, কিন্তু কোনওভাবেই ইসলামের শরিয়তকে অমান্য করে নয়। শরিয়তে যেটা উচিত বলে মনে হবে সেই পথেই চলবে নয়া তালিবান সরকার। গতকাল মৌলবী আখুন্দজাদাই আফগান মসনদে প্রিমিয়ার হিসাবে মোল্লা হাসানের নাম প্রস্তাব করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬-এর তালিবান সরকারকে মান্যতা দেয়নি ভারত। এবার নয়াদিল্লির কাছে সেই অবস্থান বদলের আরজিও জানিয়েছে তালিবান। ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী আখুন্দের ডেপুটি হিসাবে আবদুল ঘানি বরাদর এবং মোল্লা আবদুস সালামকে নিযুক্ত করা হয়েছে। আখুন্দ আদতে কান্দাহারের লোক, তালিবানের জন্মস্থান। গত ২০ বছর ধরে রেহবারি শুরার হয়ে কাজ করেছেন মোল্লা হেবাতোল্লার ঘনিষ্ঠ আখুন্দ। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত প্রথম তালিবান সরকারে বিদেশ মন্ত্রী এবং ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী হিসাবেও কাজ করেছেন আখুন্দ। যদিও সরকারের রিমোট কন্ট্রোল থাকবে সুপ্রিম লিডার আখুন্দজাদার হাতেই।