বাড়তে থাকা মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের সংখ্যার কারণে সতর্কতা জারি দিল্লি-কেরল বিমানবন্দরে

গত দুই বছর করোনার দাপটে নাস্তানাবুদ হয়েছে গোটা বিশ্ব৷ এরই মধ্যে আবার মাঙ্কিপক্স নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে গোটা পৃথিবীতে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও হানা দিয়েছে করোনার মতোই আরো এক সংক্রামক ভাইরাস মাঙ্কি পক্স। এক দুই করে বাড়তে বাড়তে ইতিমধ্যেই আমাদের দেশে আক্রান্তের সংখ্যা চার।

অন্যদিকে দক্ষিণের রাজ্য কেরলের পাশাপাশি রবিবার রাজধানী দিল্লিতেও মিলেছে এক মাঙ্কি পক্স আক্রান্তের খোঁজ। এমতাবস্তায় কোরোনার মতোই এবার এই সংক্রমণকে কেন্দ্র করেও ছড়াচ্ছে আতঙ্ক, উদ্বেগ। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি পর্যালোচনায় কেন্দ্রের একটি বিশেষ দল কেরলে গিয়ে শুরু করেছেন দেখাশোনা।

পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই ভাইরাসকে কেন্দ্র করে জারি হয়েছে নতুন হেলথ অ্যাডভাইজারি। সবে মিলে করোনার মত মাঙ্কি পক্স নিয়েও যে সিঁদুরে মেঘ দেখছে সরকার তা এক কথায় স্পষ্ট। এমতাবস্থায় দেশের যে রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে সেই দুই রাজ্য তথা কেরল এবং দিল্লির বিমানবন্দরে জারি হল একগুচ্ছ সর্তকতা।

জানা যাচ্ছে সোমবার সকাল থেকেই দিল্লি বিমানবন্দরে শুরু হয়েছে বিশেষ নজরদারি। বিদেশ থেকে আগত সমস্ত যাত্রীদের আরো জোরালো হেলথ স্ক্রিনিং শুরু হয়েছে এই বিমানবন্দরে। সেক্ষেত্রে কোন যাত্রীর শরীরে যদি মাঙ্কি পক্সের কোনরকম উপসর্গের দেখা মিলছে তাহলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে লোক বিনায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।

এর সঙ্গেই খবর, দিল্লি এবং কেরল এই দুই রাজ্যের বিমানবন্দরেই উপস্থিত রয়েছেন কুড়িজন সদস্যের বিশেষ একটি দল। তারাই যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি তাদের বিমানবন্দর থেকে নির্দিষ্ট হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তরের কাজটি করছেন। সে ক্ষেত্রে কোনো আন্তর্জাতিক যাত্রীর যদি জ্বর, পিঠে ব্যাথা কিংবা হাড়ে ব্যথার মত উপসর্গ থাকে তাকে সঙ্গে সঙ্গেই আলাদা করে আইসোলেশনে পাঠানো হচ্ছে।

একই অবস্থা দক্ষিণের রাজ্য কেরলেও। এই রাজ্যে এখনো পর্যন্ত তিনজন মাঙ্কি পক্স আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। হাই আল্যার্টে রাজ্যের ১৪ টি জেলা। মাঙ্কি পক্স প্রসঙ্গে কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিনা জর্জ সম্প্রতি জানিয়েছেন, ‘আমাদের রাজ্যের ১৪টি জেলাতেই কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। একইরকমভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে ভ্যাক্সিনেশন এর উপরেও। আপাতত মাঙ্কি পক্স নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। হাসপাতালগুলিকেও বলা রয়েছে যদি কোন ব্যক্তির শরীরে উপসর্গ পরিলক্ষিত হয় তাহলে যেন সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানো হয়।