যাত্রীকেন্দ্রিক উদ্ভাবন (customer-centric innovations) দ্বারা এবং অন্তর্ভুক্তি, টেকসইতা ও সেবার উৎকর্ষতাকে (inclusivity, sustainability, and service excellence) অগ্রাধিকার দিয়ে ‘আকাশা এয়ার’ (Akasa Air) ভারতে বিমান ভ্রমণের ধারা বদলে দিচ্ছে। ২০২২ সালের আগস্টে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ‘আকাশা এয়ার’ ১.৩ কোটিরও বেশি যাত্রী পরিবহন করেছে এবং বর্তমানে ২২টি দেশীয় ও ৫টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে সংযোগ প্রদান করছে, যেগুলির মধ্যে দোহা, জেদ্দা ও আবুধাবি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। উল্লেখ্য, আকাশা এয়ার হল ভারতের দ্রুততম বিকাশমান এয়ারলাইন।
‘পেটস অন আকাশা’-র (Pets on Akasa) পোষ্যবান্ধব নীতি, ‘ক্যাফে আকাশা’-র (Café Akasa) আঞ্চলিকভাবে অনুপ্রাণিত খাবার-সহ আকর্ষণীয় মেনু, এবং গভীর রাতে শান্তিপূর্ণ ভ্রমণের জন্য ‘কোয়াইটফ্লাইটস’-এর (QuietFlights) মতো উদ্যোগগুলির মাধ্যমে আকাশা কমফর্ট ও কাস্টমাইজেশনে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতি এবং ব্রেইল সেফটি ম্যানুয়ালের মতো পদক্ষেপগুলি যাত্রীদের জন্য আরও সহজ ও গ্রহণযোগ্য অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করেছে। টেকসইতাকে (Sustainability) আকাশা এয়ার-এর কার্যক্রমের কেন্দ্রে রাখা হয়েছে, যার উদাহরণ হলো জ্বালানিসাশ্রয়ী ইঞ্জিন, পরিবেশবান্ধব খাবারের প্যাকেজিং এবং জল সংরক্ষণের উদ্যোগ। এর ফলে এপর্যন্ত ৪,৬৪,০০০ লিটারেরও বেশি জল সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে। আকাশা এয়ার-এর উদ্ভাবনী পরিষেবা, যেমন ‘স্কাইবিটস মিউজিক’ (SkyBeats music) এবং ‘স্কাইস্কোর ম্যাচ আপডেট’ (SkyScore match updates), কর্মীবান্ধব সংস্কৃতি এবং ইতিবাচক গ্রাহক প্রতিক্রিয়া, আধুনিক বিমান পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড তৈরি করে চলেছে।
এই এয়ারলাইনের সেবা উৎকর্ষতা ও যাত্রীকেন্দ্রিকতার প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার পাশাপাশি আকাশা এয়ার-এর কো-ফাউন্ডার এবং চিফ মার্কেটিং অ্যান্ড এক্সপিরিয়েন্স অফিসার বেলসন কাউটিনহো যাত্রীদের মতামতের ভিত্তিতে আকাশা এয়ার-এর নির্ভরযোগ্য ও উষ্ণ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা প্রদানের সাফল্য তুলে ধরেছেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভারতীয় আতিথেয়তা প্রদর্শনকারী এয়ারলাইনে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে গর্ব প্রকাশ করেছেন তিনি।