অনেকেই স্বীকার করে যে, ঐশ্বর্য তাঁর এই সৌন্দর্য পেয়েছেন মায়ের থেকেই। অনুষ্কা শর্মা একবার ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “আপনি আমাদের চোখে দেখা সবচেয়ে সুন্দর নারী। কিন্তু আপনার চোখে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর নারী কে?” এমন প্রশ্ন করা হলে সাধারণত মেয়েরা তাঁর মায়ের নামই করে। তাই অনুষ্কার তাঁর প্রশ্নের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছিলেন ঐশ্বর্য তাঁর মায়ের নাম নিতে পারবেন না। ঐশ্বর্য হতচকিত হয়ে বলেছিলেন, “খুবই বুদ্ধিমানের প্রশ্ন করেছেন অনুষ্কা। এমন একটি প্রশ্ন করেছেন, যেখানে তিনি আমার মায়ের নামটাই নিতে মানা করেছেন। তা ভাল কথা, কিন্তু তিনি আমার মধ্যে থাকা মাকে কী করে সরাবেন?”
সেই মুহূর্তে ঐশ্বর্য বলতে শুরু করেন, “এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমার চোখে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর নারী আমার মেয়ে আরাধ্যা বচ্চন। আরাধ্যা আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় মানুষ। ওকে আমি প্রচণ্ড ভালবাসি। আমি ওকে নিয়ে অবসেসড। যদি জিজ্ঞেস করেন, আমার চোখে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সবচেয়ে সুন্দর নারী কে? তাহলে আমি নির্দ্বিধায় আমার মেয়ে আরাধ্যার নামই করব।”
কান চলচিত্রে প্রত্যেকবারের মতো এবারও তাঁর সঙ্গী ছিলেন মেয়ে আরাধ্যা। আরাধ্যার জন্মের পর থেকে তাঁকে এক মুহূর্তের জন্যেও কাছছাড়া করেননি ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। কান চলচ্চিত্র উৎসবে আরাধ্যার ছবি বাইরে বেরোতেই দেখা যায় তাঁর মধ্যে আমূল পরিবর্তন। ১২ বছরের মেয়ে আরাধ্যার দেহ স্পর্শ করেছে বয়ঃসন্ধি। সম্পূর্ণ নো মেকাপ লুকে, পড়ুয়াদের গেটআপে মায়ের সঙ্গে এয়ারপোর্টে হেঁটে চলে বেরায় তারকা-সন্তান। মা পাশে থাকলে আর প্রয়োজন পড়ে না কোনও সাজগোজেরও। যেখানে বিশ্ব সুন্দরী মা তাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী নারীর তকমা দেন, আর কী কোনও তকমার প্রয়োজন পড়ে সেই কন্যার?