দু’বছর পর বরাদ্দ বৃদ্ধি মিড-ডে মিলে। সরকার প্রোষিত প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতে শিক্ষার্থী পিছু ৭০-৭৫ পয়সা করে বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও এই পরিমাণ বৃদ্ধিতে মোটেই খুশি নন বাঁকুড়ার শিক্ষক মহলের একাংশ। তাঁদের মতে, বাজারে জিনিসপত্রের দাম ক্রমবর্দ্ধমান। এই ‘ছিটেফোঁটা’ বরাদ্দ বৃদ্ধিতে শিশুরা পুষ্টিকর খাবার পাবে তো? সে নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।
বাঁকুড়া শহরের একটি স্কুলের তাপস রায় বলেন, মিড ডে মিলে নামমাত্র বরাদ্দ বেড়েছে, যা যথেষ্ট নয়। এখন প্রতি পিস ডিমের দাম সাত থেকে সাড়ে সাত টাকা, মুসুর ডাল প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১০০, পিঁয়াজ অনেক সময় ৮০ টপকে যাচ্ছে। ফলে আমাদের মতো ছোটো স্কুলে ওই টাকায় মিড ডে মিল চালানো অসম্ভব। এই অবস্থায় ন্যুনতম ৮ থেকে ১০ টাকা বরাদ্দ জরুরী বলে তিনি জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা বিজয় দত্ত বলেন, মি ডে মিলে যা বরাদ্দ শুনছি ওই টাকায় কখনোই ছাত্র ছাত্রীদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো সম্ভব নয়। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে শিক্ষকদের দোষারোপ করে কোন লাভ নেই বলেও তিনি মনে করছেন বলে জানান। মিড ডে মিল কর্মী মিঠু মাঝি বলেন, বর্তমানে রান্নার গ্যাসের দাম এক হাজার টাকা। তার পর শাক সব্জী সহ অন্যান্য উপকরণ আছে। ওই টাকায় মিড ডে মিলে কি পুষ্টিকর খাবার যোগান দেওয়া যাবে? এই অবস্থায় তাদের শিক্ষক নিজের পকেট থেকে ঘাটতি মেটান বলে তিনি দাবি করেন।