বাইশ বছর আগের ঘটনা, কিন্তু এখনো যেন তাড়া করে বেড়ায় অনেক মানুষকে। এই ঘটনায় সন্ত্রাসদমনে বড়সড় সাফল্য পেল আমেরিকা। কাবুলে মার্কিন বিমান হানায় নিহত ৯/১১ হামলার অন্যতম চক্রী তথা আল কায়দা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি।
এই খবর জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ আল-জাওয়াহিরি ছিল বিশ্বের অন্যতম ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি৷ আমেরিকায় ৯/১১-র ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার হামলার পিছনে তিনিই ছিলেন অন্যতম মূলচক্রী।
এদিন টুইট করে বাইডেন লিখেছেন, শনিবার কাবুলে বিমান হামলা চালায় আমেরিকা। ওই হামলাতেই খতম আল কায়দা প্রধান। তিনি লিখেছেন, ‘কতটা সময় লাগল, সেটা উল্লেখ্য বিষয় নয়, কোথায় লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করেছিল, তাতে কিছু আসে যায় না। আমরা ঠিক খুঁজে বার করবই।’’
টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও লিখেছেন, ‘যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায়, তাদের থেকে আমেরিকার মানুষকে রক্ষা করার সংকল্প ও ক্ষমতা আমেরিকার রয়েছে।’ ‘‘ন্যায়বিচার দেওয়া গেল’’ বলেও উল্লেখ করেন বাইডেন৷
মার্কিন প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ড্রোনের মাধ্যমে আক্রমণ চালিহামলা চালানো হয়৷ কাবুলের একটি বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন আল-জাওয়াহিরি৷ সেখানেই তাঁকে খতম করা হয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, আল-জাওয়াহিরিকে হত্যা করার জন্য আফগানিস্তানের মাটিতে মার্কিন সেনা-জওয়ানরা পা রাখেনি। তাঁর কথায়, ২০২০ সালে দোহাতে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে তালিবানের সঙ্গে যে চুক্তি সই হয়েছিল, কাবুলে আল-জাওয়াহিরির উপস্থিতি সেই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
৩১ অগস্ট ২০২১-এ আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর জঙ্গি দমনে এই প্রথম আকাশ পথে অভিযান চালালো আমেরিকা। আল-জাওয়াহিরির জন্ম মিশরের রাজধানী কায়রোতে৷ সেখানেই বেড়ে ওঠা। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের যোগ দেওয়ার আগে তিনি ছিলেন পেশায় শল্য চিকিৎসক৷
৯/১১ হামলার পর থেকে মার্কিন বাহিনীর চোখ এড়িয়ে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পর আল-কায়াদার গুরু দায়িত্ব এসে পড়ে জাওয়াহিরি কাঁধে৷ তাঁর মাথার দাম ছিল ২.৫ কোটি ডলার৷ ওসামা বিন লাদেনের হত্যার পর জওয়াহিরির মৃত্যু জঙ্গিদের কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে।