ত্রিপুরা জয়ের পর বঙ্গে আশা দেখছে গেরুয়া শিবির

সম্প্রতি সম্পন্ন হয়ে ফল প্রকাশিত হয়েছে ত্রিপুরা পুরভোটের। ত্রিপুরায় জয়ের ঝড় তুলছে গেরুয়া শিবির। অপ্রত্যাশিতভাবে ত্রিপুরা পুরভোটে গেরুয়া ঝড়। অধিকাংশ আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি আর সিপিএমকে টক্কর দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সার্বিকভাবে সব জায়গায় বিজেপির জয়জয়কার। এই ফলাফল দেখে বাংলার বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছে যে আসন্ন কলকাতা পুরসভা নির্বাচনেও ত্রিপুরার ফলাফলের প্রভাব পড়বে ব্যাপকভাবে। এই বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বাংলার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

ত্রিপুরা নির্বাচন নিয়ে প্রথম থেকেই বাংলার শাসক শিবিরকে এক হাত নিয়ে এসেছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। সেই রাজ্যের মানুষ ঘাসফুল শিবিরকে একেবারেই সমর্থন করেনি বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। এবার ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর দিলীপের স্পষ্ট বক্তব্য, যারা অশান্তি করতে গিয়েছিল তাদের মানুষ সমর্থন করেনি। যদিও তৃণমূলকে একটি আসন দিয়ে তাদেরও নিরাশ করেনি ত্রিপুরা। এই প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ত্রিপুরা ভোটের ফলাফলের প্রভাব বাংলার নির্বাচনে অবশ্যই পড়বে। কারণ ত্রিপুরায় কী হয়েছে বাংলার মানুষ দেখেছেন। এই প্রসঙ্গে ঘাসফুল শিবিরকে এক হাত নিয়ে তিনি আরও বলেন, এখান থেকে প্রচুর অভিনেতাদের ত্রিপুরায় নিয়ে গিয়েছিল তৃণমূল কিন্তু মানুষ কাউকে সমর্থন করেনি। এই ক্ষেত্রে তিনি যে সায়নী ঘোষের প্রসঙ্গ টেনে কটাক্ষ করেছেন তা বলাই বাহুল্য।

একই প্রসঙ্গে তৃণমূলকে একহাত নিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় গিয়ে ব্যাপক গন্ডগোল এর চেষ্টা করেছে ঘাসফুল শিবির কিন্তু সেখানে তারা আমাদের মূল বিরোধী ছিল না। ত্রিপুরার মানুষ বিজেপির সঙ্গে রয়েছে এবং এই জয় তারা সেলিব্রেট করবেন। পাশাপাশি সুকান্তর অভিযোগ তৃণমূল টাকা দিয়ে ভোট দিতে চেয়েছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। টাকার লোভে মানুষ তাদের ভোট দেয়নি এটা মানুষের জয়।