সাফল্য লাভের পর সোজা দাদাগিরির মঞ্চে

সম্প্রতি হঠাৎ করেই সাফল্য মিলেছিলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে৷ অজ গ্রামের মেঠো পথ থেকে রাজ্য, দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতে ঝড় তুলেছে বীরভূমের ‘বাদাম কাকু’ ভুবন বাদ্যকরের কাঁচা বাদাম৷ এই একটি গানেই ভুবন খ্যাত হয়েছেন তিনি৷ ডাক এসেছে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে৷ এবার তাঁকে দেখা যাবে দাদাগিরির মঞ্চে৷ দাদার সঙ্গে খেলবেন দাদাগিরি৷ 

অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার৷ পেট বাঁচাতে গ্রামের পথে বাদাম বিক্রি করতেন ভুবন বাদ্যকর৷ বাদাম বেঁচতে বেঁচতেই তৈরি করেছিলেন ‘কাঁচা বাদাম’ গানটি৷ যা নেট পাড়ায় শোরগোল ফেলে দেয়৷ এর পর স্টুডিয়োয় দাঁড়িয়ে সেই গান রেকর্ডও করেন তিনি৷ রাতারাতি খ্যাতির শিখরে পৌঁছন ভুবন বাদ্যকর৷ কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে খ্যাতি এলেও আসেনি অর্থ৷ মেলেনি প্রাপ্য৷ এমনটাই জানিয়েছিলেন তাঁর দাদা জগাই বাদ্যকর৷ তবে এবার স্বয়ং দাদার কাছ থেকে ডাক এসেছে ভুবনের কাছে৷ তাঁকে দেখা যাবে দাদাগিরির সেটে৷ 

ভাগ্যের চাকা কবে, কী ভাবে, কোন দিকে ঘুরে যায়, তা কেউই বলতে পারে না৷ অখ্যাত গ্রামের ‘বাদাম কাকু’ কোনও দিনও ভাবতে পারেননি এ ভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন তিনি৷ একটি গানের দৌলতেই রাতারাতি জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছান দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রাম কুড়ালজুড়ির বাসিন্দা ভুবন৷ পরিচিতি মেলার পর তাঁকে দেখা গিয়েছে কলকাতায় তৃণমূলের প্রচারে৷ ডাকা এসেছে একের পর এক অনুষ্ঠানের৷ বাদাম বিক্রি করতে করতে কাঁচা বাদাম গানটি গাইতেন ভুবন৷

তাঁর গান শুনে কোনও এক যুবক মোবাইলে সেটি রেকর্ড করে ফেসবুকে পোস্ট করে দেন। গানটি পোস্ট হতেই রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়। কিন্তু ভুবন বাদ্যকর কে, কোথায় বাড়ি, এসব কেউই জানতেন না। গত ২৯ নভেম্বর তাঁর গ্রামে পৌঁছন এক সাংবাদিক৷ তিনি গিয়ে ভুবনের খোঁজ নেন এবং তাঁর খবর সম্প্রচার করেন। তারপর থেকেই সেলিব্রিটি ভুবন। শুধু জেলায় নয়, গোটা রাজ্যের মানুষ তাঁর গানে বুঁদ৷ ‘বাদাম বাদাম দাদা কাঁচা বাদাম, আমার কাছে নাইকো বুবু ভাজা বাদাম’একের পর এক মঞ্চ কাঁপিয়েছে৷ সেই গান শুনে এবার ডাক পড়ল কলকাতায় জি বাংলার দাদাগিরিতে। সৌরভ গাঙ্গুলি স্বয়ং নিজেই তাঁকে দাদাগিরির মঞ্চে ডেকে পাঠিয়েছেন বলে খবর। জি বাংলার টিমের কর্মীরা তাঁকে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার জন্য দুবরাজপুরে যান। রবিবার দুবরাজপুর থানার ওসি আফরোজ হোসেনের সঙ্গে জি বাংলার টিমের সদস্যরা এবং ভুবন বাদ্যকর সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন৷