কিছুক্ষন আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে ইয়াসের ল্যান্ডফল। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে চলে ল্যান্ডফল। ইয়াসের দোসর ভরা কোটাল। ভরা কোটালের জন্য প্লাবিত বহু এলাকা। অনেক বাঁধ ভেঙে গিয়েছে৷ গ্রামে জল ঢুকে পড়েছে৷ আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এখানেই শেষ নয়, ইয়াসের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাওয়ার আগে সেটি আরও ৯ থেকে ১০ ঘন্টা তান্ডব চালাবে। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে চলবে ঝোড়ো হাওয়া। আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার অবধি সাবধানে থাকার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন নবান্নে বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে একটা প্রাথমিক খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি।
১ কোটি মানুষ দুর্যোগে আক্রান্ত হয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ ১৪ হাজার ত্রাণ শিবির চালানো হচ্ছে৷ ১৩৪টি বাঁধ ভেঙে গিয়েছে৷ দুর্ঘটনায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ এছাড়াও সন্দেশখালি, হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ, উত্তর ২৪ পরগণা, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, গোসাবা, কুলপি, ফ্রেজারগঞ্জ, বাসন্তী, ক্যানিং ১ ও ২, দীঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর, রামনগর, কন্টাই, নন্দীগ্রাম সহ একাধিক জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ পাশাপাশি, কালীঘাট, চেতলা, রাসবিহারীর মতো নীচু জায়গাগুলো জলমগ্ন হয়ে পড়েছে৷ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রকোপে সেচ, কৃষি ও মৎস্যক্ষেত্রে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১৫ লক্ষের বেশি মানুষকে রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়েছে। ১৪ হাজার রিলিফ ক্যাম্প গঠন করা হয়েছে। ১০ লক্ষ ত্রিপল, রিলিফ – ১০ কোটি টাকার রিলিফ পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘নোনাজল ঢুকে যাওয়ায় কৃষির ক্ষতি হয়েছে। মৎস্যচাষেরও ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ফুলচাষ ও গবাদি পশু কালচারে। তিনি জানিয়ে দেন, বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করছে রাজ্য সরকার।