রাজ্যের পর এবার একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পত্তিবৃদ্ধির অভিযোগ

সম্প্রতি রাজ্যের শাসক দলের একাধিক মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে সম্পত্তিবৃদ্ধির মামলা দায়ের হয়েছে। এবার রাজ্যের পর বিজেপির শীর্ষ স্থানীয় নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা সহ স্মৃতি ইরানি, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো একাধিক বিজেপি নেতা এবং মন্ত্রীদের নাম জুড়ল হিসাবহীন সম্পত্তিবৃদ্ধির মামলায়।

উপরিউক্ত নেতাদের পাশাপাশি সুজন চক্রবর্তীর নামও যুক্ত হয়েছে তালিকায়। প্রত্যেকের সম্পত্তি কী ভাবে বৃদ্ধি পেল তা নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। প্রথমে ১৯ জন তৃণমূল নেতা নেত্রী এবং তার পরে ১৭ জন বিরোধী নেতাদের নাম জুড়ে যায় এই মামলায়।

এ বার জাতীয় স্তরের নেতাদেরও সম্পত্তি খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা রুজু হল কলকাতা হাইকোর্টে। অল্প সময়ে বিপুল সম্পত্তি কী ভাবে? এই প্রশ্ন তুলেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে।

বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের ১৭ নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আগের তালিকায় নাম ছিল শুভেন্দু অধিকারী, শিশির অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খা, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল, শমীক ভট্টাচার্য, মহম্মদ সেলিম, আব্দুল মান্নান, শীলভদ্র দত্ত, তন্ময় ভট্টাচার্য, বিশ্বজিত সিনহা, অনুপম হাজরা, জিতেন্দ্র তেওয়ারির। এবার আরও ‘বড়’ নাম যুক্ত হল।

কী ভাবে সম্পত্তির এই শ্রীবৃদ্ধি, তা খতিয়ে দেখুক এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)৷ সম্প্রতি হাইকোর্টে এমনই আর্জি জানানো হয়েছিল। যদিও সিপিএমের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, যে কোনও তদন্তকারি সংস্থা দিয়ে তদন্তে রাজি তাঁরা। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে আদালতে সময় চাওয়া হয়েছে।

এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৯ আগস্ট। মূল অভিযোগ, এই সব নেতাদের যে সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে তার সঙ্গে তাঁদের আয়ের কোনও সংগতি নেই। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর পাঁচ বছরের মধ্যে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি ফেঁপেফুলে উঠেছে। বাকি বিরোধীদের নেতা, মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ।