কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আসলেও এখন সম্পূর্ণ রূপে সামলে ওঠা যায়নি আসামের বন্যা পরিস্থিতি। সদ্যই বন্যা কবলিত হয়েছিল গোটা আসাম। বিরাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাটের ক্ষতি তো আছেই, পাশাপাশি জমা জলের কারণে নাজেহাল অবস্থা মানুষের।
এরই মাঝে অন্য উপদ্রব শুরু হয়েছে রাজ্যে যা প্রচণ্ড পরিমাণে আতঙ্ক বাড়িয়েছে। বিগত কিছু দিন ধরে অসমে শুরু হয়েছ জাপানি এনসেফালাইটিসের উৎপাত। পরিস্থিতি খুবই চিন্তাজনক কারণ শেষ ১৫ দিনে অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মূলত বন্যা হওয়ার পর থেকেই এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে অসমে।
নালবাড়ি, মরিগাও, উদালগিরি, গোলাঘাট, জোরহাট সহ একাধিক জায়গায় এই রোগের দেখা মিলছে। গত ১ জুলাই প্রথম রাজ্যে এই রোগের হদিশ মেলে, তারপর থেকেই পরিস্থিতি বেগতিক হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টাতেই তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এছাড়াও এই একই সময় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১৬ জন।
জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রিপোর্ট বলছে, এখনও পর্যন্ত এই রাজ্যে ১৬০ টি কেস রিপোর্ট হয়েছে জাপানি এনসেফালাইটিসের। তাই প্রশাসন এখন থেকেই কড়া নজরদারি রাখা শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন জেলার ওপর। পরিস্থিতি যাতে কোনও ভাবেই হাতের বাইরে না চলে যায় সেই দিকেই লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে বন্যার কবলে ছিল অসম। সরকারি হিসেবে উঠে এসেছিল বন্যা পরিস্থিতিতে ৬৭ জেলার প্রায় ৬ লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। বরপেটা, কাছাড়, দারাং, ধুব্রি, ডিব্রুগড়, ডিম হাসাও, গোয়ালপাড়া, গোলাঘাট, হোজাই, জোরহাট, কামরূপ এবং কামরূপ মেট্রোপলিটন, কার্বি আংলং পশ্চিম, করিমগঞ্জ, লখিমপুর এবং নওগাঁও জেলার একাধিক অঞ্চল তখন থেকেই জলের তলায় চলে গিয়েছিল।