ধীরে ধীরে আবার স্বস্তি দিচ্ছে দেশের সংক্রমণের সংখ্যা। দেশের কোভিড গ্রাফ আজ কিছুটা চিন্তা কম করবে। দৈনিক সংক্রমণ ৬ হাজারের নীচে না নামলেও কিছু বেশি আছে গত ২৪ ঘণ্টায়। একাধিক রাজ্যের পরিসংখ্যানে বদল হয়েছে। অন্যদিকে ক্রমাগত নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেস।
কিন্তু সাধারণ মানুষকে যে সতর্ক থাকতে হবে তা বারবার করেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ করোনা ছাড়াও একাধিক ভাইরাসের দাপট দেখা যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। যার মধ্যে আছে মাঙ্কিপক্স। দেশেও এই রোগ এবং ডেঙ্গুর প্রভাব বাড়ছে বলেই আশঙ্কা।
কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, আজ দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ১৬৮ জন। আবার একদিনে সুস্থ হয়েছে ৯ হাজার ৬৮৫ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৮ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩৬৫ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫৯ হাজার ২১০ জন।
আপাতত দেশের সুস্থতার হার ৯৮.৬৮ শতাংশ। টিকাকরণও চলছে দাপটের সঙ্গে। এতদিনে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ২১২ কোটি ৭৫ লক্ষের বেশি ডোজ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় দেওয়া হয়েছে ২২ লক্ষ ৪০ হাজারের বেশি ডোজ।
এদিকে জানা গিয়েছে, ভারতের ১৮ বছর থেকে ৫৯ বছর বয়সীদের মোট সংখ্যার প্রায় ৭৭ কোটির মধ্যে মাত্র ১২ শতাংশ নিয়েছেন কোভিডের বুস্টার টিকা। এমনকি এও জানা গিয়েছে, দেশের একাধিক রাজ্যে বুস্টার টিকাদানের হার ১১ শতাংশ কিংবা তার চেয়েও কম।
এইসব রাজ্যগুলির মধ্যে আছে গোয়া, পঞ্জাব, হরিয়ানা। সরকারি তথ্য এটাও বলছে, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের নিয়ে সবচেয়ে বিপজ্জনক বয়ঃসীমার প্রায় ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র ৩৫ শতাংশ বুস্টার টিকা নিয়েছেন। সুতরাং এক কথায়, ভারতে কোভিড বুস্টার টিকা নেওয়াতে ব্যাপক অনিচ্ছা দেখা দিয়েছে।