চারিদিক দিয়ে দুর্নীতিতে জর্জরিত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ এক এক করে সমস্ত খোয়াতে হচ্ছে তাকে৷ শনির দশা যেন চেপে বসেছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর। ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত মন্ত্রিত্ব পদ ও দলীয় পদ থেকে বাদ পড়েছেন।
এবার কলকাতার বিভিন্ন পুজো কমিটি থেকে অপসারিত করা হলো প্রাক্তন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পরেই তার সাথে দূরত্ব বাড়িয়েছিল তার নিজের দল। এবার সেই ধারাই বজায় রাখল বেহালার বিভিন্ন দুর্গা পূজা কমিটিগুলি।
বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বেহালা পূর্ব ও পশ্চিম এই দুই অঞ্চলে দুর্গাপুজোর সংখ্যা কম করে ২০০ টি। তার মধ্যে ৭৫ শতাংশ দূর্গা পূজা কমিটির বিভিন্ন পদে বহাল ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কোথাও প্রধান পরামর্শদাতা, কোথাও আবার সম্পাদক আবার কোথাও পৃষ্ঠপোষক!
কিন্তু এক ধাক্কায় গেল সবই! স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর অধিকাংশ দুর্গাপুজো কমিটি তাকে ছাঁটাই করে যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে! বনমালী নস্কর রোডের বেহালা ক্লাবের দুর্গোৎসব এবছর ৭৮ বছরে পা দেবে।
২০০১ সালে বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই পার্থ এই দুর্গোৎসব কমিটিতে যুক্ত হয়ে পড়েন। এবছর তাকে সরানো হয়েছে এই পদ থেকে। বরিশার একতা সংঘের দুর্গা পুজোতেও বহুদিন সভাপতি ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু সেই পদ থেকেও তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গেছে।
বেহালা অঞ্চলে দেবদারু ফটকের পূজা এবার পা দেবে সুবর্ণ জয়ন্তীতে। গত দু দশক ধরে ওই পুজো কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দেবদারু ফটক কর্তৃপক্ষও পার্থকে এই পদ থেকে বহিষ্কার করেছে। এছাড়াও বরিশা অঞ্চলের বেশ কিছু অভিজাত আবাসনে অষ্টমীতে নিয়মিত ভোগ খেতে যেতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই আবাসন গুলির পুজো কমিটিতেও বেশ কিছু পদে ছিলেন পার্থ বাবু। অন্যান্য বড় ক্লাবগুলোর মতোই আবাসনের কমিটিগুলিও পার্থবাবুকে অপসারণ করতে বাধ্য হয়েছে।
সূত্রের খবর বেহালা পূর্ব বিধানসভায় শোভন চট্টোপাধ্যায় বিদায় নেওয়ার পর সেইসব পুজো কমিটিগুলির সাথে জড়িয়ে পড়েন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সেই দুর্গাপুজোর কমিটির পথ থেকে বহিস্কারের পর স্থানীয় কাউন্সিলরদের সেই পদে বসানোর ভাবনা চিন্তা করছে কমিটিগুলি।