অর্জুনের দল পরিবর্তনের পরেই আরো ধসের মুখে পড়তে পারে রাজ্য বিজেপি

অবশেষে দল বদল করেছেন তিনি। গেরুয়া শিবির ছেড়ে ফিরে এসেছেন রাজ্যের শাসক দলে। আবার দিয়েছেন পুরোনো দলেই। তিন বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে রবিবারই পুরনো দলে ফিরে এসেছেন অর্জুন সিং। বরাবরই দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তিনি। তিনি তৃণমূলে আসার পরেই তোপ দেগেছিলেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে। কটাক্ষের সুরে বলেছিলেন, তারা তাঁকে বিশ্বাস করতে পারেনি। এও বলেছিলেন যে, এসি ঘরে বসে রাজনীতি হয় না। এখন গেরুয়া শিবিরকে আরও ধাক্কা দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন অর্জুন। জানা গিয়েছে, বঙ্গ বিজেপিতে ধস নামাতে তিনি তালিকা প্রস্তুত করেছেন, যা ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে।

আগামী সোমবার শ্যামনগরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। আর সেখানেই বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে নেওয়ার কথা এক ঝাঁক বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের। এমনটাই জানা যাচ্ছে। আর এই দল বদলের মূল কারিগর অর্জুন সিংই। তিনি চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করে অভিষেককে দিয়ে দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। ‘ঘরে ফিরে’ বড় দায়িত্ব পেয়েই গিয়েছেন অর্জুন। জানা যাচ্ছে, তৃণমূল বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গ বিজেপিতে ধস নামলে যে তৃণমূলের জন্য তা বিরাট লাভ তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা থাকে না। আসলে তৃণমূলের নজরে এখন থেকেই রয়েছে বনগাঁ জেলা। দমদম, বারাসত, বারাকপুর এবং বসিরহাট তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে। কিন্তু শুধু বনগাঁ নিয়েই তাদের চিন্তা। এখানে বিজেপি রয়েছে। তাই সেটা নিজেদের দখলে আনতে মরিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে ঘাসফুল।

আগামী ৩০ মে শ্যামনগরের অন্নপূর্ণা জুটমিল মাঠে বৈঠক করার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই সভাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই টিটাগড়ের জেলা কার্যালয়ে মঙ্গলবার একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সৌগত রায়, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মন্ত্রী রত্না ঘোষ, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মন্ত্রী সুজিত বসুর সাথে অর্জুন সিংও।