নেত্রী হওয়ার সফরটা কঠিন ছিল। ভোটে জেতেননি তিনি। তাও কঠোর পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই তাঁর প্রমান দিলেন তিনি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আসানসোল দক্ষিণ আসনে বিজেপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হলেও তিনি তাঁর পরিশ্রমের পারিশ্রমিক পেলেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। যুব তৃণমূলের সভাপতি পদে নিয়ে আসা হল অভিনেত্রী-রাজনীতিক সায়নী ঘোষকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় নেতার স্তরে উন্নীত হওয়ার পরেই সেই জায়গায় এলেন সায়নী ঘোষ। তৃণমূল ভবনে দলের কোর কমিটির বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় আইটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতির পদ পেয়েছেন। রাজ চক্রবর্তী তৃণমূলের কালচারাল প্রেসিডেন্ট মনোনীত হলেন।
অভিনেত্রী থেকে তৃণমূলের যুব সভাপতি। নিঃসন্দেহে এ এক দারুণ উত্তরণ। এই ক-দিন আগে পর্যন্তও তাঁর পরিচয় ছিল তিনি স্মার্ট, বুদ্ধিদীপ্ত একজন অভিনেত্রী। একই সঙ্গে প্রতিবাদীও। যে কোনও অন্যায় নিয়ে তিনি বরাবরই সরব। তাঁর এই প্রতিবাদী চরিত্রে যেন ছিল রাজ্যের যুবমানসেরই প্রতিফলন।টেলিভিশনের বিতর্কসভা থেকে সোশ্যাল মিডিয়া, বাঙালির জন্য এবং বাংলার জন্য তাঁর আবেগ ও লড়াই ছিল চোখে পড়ার মতো। তরুণ এই মুখকে চিনতে ভুল করেননি দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিনের মধ্যেই তৃণমূল দলে যোগ দেন তিনি, এবং আসানসোল দক্ষিণের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে তাঁকে টিকিট দেয় দল।