নিজের বাড়িতেই বড়সড় হামলার মুখে অভিনেতা সইফ আলি খান। বৃহস্পতিবার ভোররাতে অভিনেতার বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই সময়ই এলোপাথাড়ি কোপ মারা হয় অভিনেতাকে। গুরুতর আহত হন সইফ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মনে করা হচ্ছে, ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না সইফের স্ত্রী তথা অভিনেত্রী করিনা কাপুর। সম্ভবত তিনি নিজের দিদি করিশ্মা কাপুর এবং বন্ধু সোনম কাপুর ও রিয়া কাপুরের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন। আসলে সইফের উপর হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। করিশ্মা, সোনম এবং রিয়ার সঙ্গে গার্লস নাইটের মুহূর্তই ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। বুধবার রাতটা করিনা নিজের কাছের বন্ধুদের সঙ্গেই কাটিয়েছেন। কিন্তু ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে আদৌ ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।
মুম্বই পুলিশের বক্তব্য, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে নাগাদ ডাকাতির চেষ্টা হয় সইফ আলি খানের বাসভবনে। হামলাকারী সন্দেহভাজনকে এখন খুঁজে বার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই মুহূর্তে ঘটনাটি খতিয়ে দেখার জন্য সইফ আলি খানের বাড়িতে হাজির হয়েছে মুম্বই পুলিশ এবং ক্রাইম ব্রাঞ্চ। আপাতত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে হামলাকারীকে শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।একটি বিবৃতি দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে যে, এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি অভিনেতা সইফ আলি খানের বাসভবনে ঢুকে পড়ে। এই নিয়ে সেই আততায়ী এবং অভিনেতার মধ্যে বাকবিতণ্ডাও হয়। এরপরেই হামলা চালানো হয় অভিনেতার উপর। আপাতত তাঁর চিকিৎসা চলছে। তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে যে, সইফের বাড়ির পরিচারিকা সেই হামলাকারীকে নিরস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। আর সেই আওয়াজেই ঘুম ভেঙে গিয়েছিল অভিনেতার।
এরপর সইফ নিজেও ওই হামলাকারীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপ মারে সে। লোকমত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, সঙ্গে সঙ্গে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। অভিনেতা নিজেই একটি বিবৃতি জারি করে ডাকাতির চেষ্টার কথায় সীলমোহর দিয়েছেন। নিজের বিবৃতিতে সংবাদমাধ্যম এবং ভক্তদের ধৈর্য ধরার জন্য অনুরোধ করেছেন সইফ। কারণ বিষয়টি এখন পুলিশি তদন্তের আওতায় রয়েছে।