এই মুহূর্তে খানিকটা অবস্তির মধ্যে দিয়েই যাচ্ছে রাজ্যের শাসক শিবির৷ সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে জেল হেফাজতে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও হেভি ওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এই পরিস্থিতিতেই প্রকাশ্যে এসেছে আরও এক দুর্নীতি। চিটফান্ড-কাণ্ডে গ্রেফতার হালিশহরের পুরপ্রধান রাজু সাহানি।
রাজু সাহানিকে গ্রেফতারের পরের দিনই চিটফান্ড-কাণ্ডে বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই৷ চিটফান্ড মামলায় ফের সুবোধ অধিকারীকে সিবিআই তলব৷ মঙ্গলের পর বুধবারই ডেকে পাঠানো হল তাঁকে। তবে মঙ্গলবারের মতো এদিনও সিবিআই দফতরে নিজের আইনজীবীদের পাঠান বিধায়ক।
চিটফাণ্ড মামলায় মঙ্গলবার সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল বীজরপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারীকে। কিন্তু, তিনি হাজিরার জন্য ১৫ দিন সময় চান। সিজিও কমপ্লেক্সে আইনজীবীদের পাঠিয়ে জানান, তিনি তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তাঁকে ১৫ দিন সময় দেওয়া হোক। কিন্তু ১৫ দিন নয়, বুধবারই তাঁকে ফের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা।
সানমার্গ চিটফাণ্ড মামলায় বিভিন্ন তথ্য জানতে মঙ্গলবার ভারতীয় দণ্ডবিধির ৯১ ধারায় সুবোধকে নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। সূত্রের খবর, চিটফান্ড কাণ্ডে ধৃত হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা রাজু সাহানির সঙ্গে যোগ রয়েছে বিধায়কের৷ সেই রেশ ধরেই সুবোধকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই।