রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী এইমুহুর্তে পঞ্চাশ শতাংশের বেশি খুদে ওমিক্রনে আক্রান্ত

বেশ খানিকটা স্বস্তির পর চলতি বছরেও চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ৷ দেশজুড়ে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণ৷ তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় কাবু গোটা দেশ৷ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার গ্রাফ৷ আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও৷ রাজ্যে আক্রান্ত খুদেদের মধ্যে ৬৯.২ শতাংশই করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্ত৷ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যানে অভিভাবকদের কপালে আরও চওড়া চিন্তার ভাঁজ৷ 

এখন ঘরে ঘরে হালকা জ্বর, সর্দি-কাশি, গা হাত পা ব্যাথার উপসর্গ প্রায় লেগেই রয়েছে৷ যাঁদের মধ্যে এই সকল উপসর্গ রয়েছে, তাঁরা টেস্ট করানোর পর অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে রিপোর্ট নেগেটিভ। কিন্তু উপসর্গ করোনা রোগীর মতো। সেই রিপোর্টের উপর ভরসা রেখেই বাইরে বেরচ্ছে মানুষ৷ তবে শুধু বড়দেরই নয়,  বাড়ির খুদে সদস্যদের মধ্যেই এই ধরনের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। জ্বর, সর্দি, কাশিতে কষ্ট পাচ্ছে পরিবারের খুদেরা। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পর সাধারণ ওষুধেই জ্বর সেরে যাচ্ছে তাদের৷ কিন্তু কারও কারও শরীরে আবার মিলেছে করোনা ভাইরাসের হদিশ। এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্য স্বাস্থ্যদফতর বলছে, রাজ্যে আক্রান্ত খুদেদের মধ্যে ৬৯.২ শতাংশই ভুগছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে৷ এই তথ্য জানার পর আরও বেশি করে চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকরা৷

যদিও চিকিৎসকদের আশ্বাস, ওমিক্রনের সংক্রমণ ক্ষমতা ভয়ঙ্কর হলেও এর মারণ ক্ষমতা অনেকটাই কম। তাই অতিরিক্ত আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে সর্বদাই সাবধানতা অবলম্বন করে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সময় একেবারেই শিশুদের বাড়ির বাইরে বের করবেন না। বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে আগে জামাকাপড় ছেড়ে হাত, পা ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে স্নান করে নিন। তারপরেই বাড়ির ছোটদের কাছে যান।  সেই সঙ্গে তাঁদের পরামর্শ, খুদে সদস্যদের মধ্যে জ্বর, সর্দি, কাশি ছাড়া অন্য কোনও উপসর্গ দেখা যাচ্ছে কিনা সে দিকে খেয়াল রাখুন।