পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দেশে প্রবেশ ঘটেছে বর্ষার

কিছুদিন আগেই ঘোষিত হয়েছিল যে দেশে এবার বর্ষার আগমণ ঘটবে নির্ধারিত সময়ের আগেই। সেই কথা সত্যি করে অবশেষে নির্ধারিত সময়ের প্রায় তিন দিন আগে রবিবার কেরলের স্থলভাগের হাত ধরে দেশের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করল বর্ষা। আবহাওয়াবিদদের তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল যে চলতি বছরে নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগেই দেশে প্রবেশ করবে মৌসুমী বায়ু। আর তার জেরেই সময়ের আগেই শুরু হবে বর্ষা।তাঁদের সেই ভবিষ্যৎবাণীকেই সত্যি প্রমাণিত করে রবিবার কেরলের স্থলভাগে প্রবেশ করল মৌসুমী বায়ু। আর তার জেরেই দেশের অন্যান্য রাজ্যের মত আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গেও বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম বায়ুর সক্রিয়তা কিছুটা বেড়েছে। সেইসঙ্গে পার্বত্য এলাকাগুলি ছাড়া সম্পূর্ণ রাজ্যে পর্যাপ্ত জলীয়বাষ্প রয়েছে। এর জেরে যে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়েছে তাতে উত্তর এবং দক্ষিণ দুই প্রান্তেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই বজ্রগর্ভ মেঘের কারণেই উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় সোমবার এক কিংবা দু’দফা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর। অন্যদিকে কলকাতার আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণও দিন কয়েক ধরে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মুহূর্তে কলকাতার আপেক্ষিক আদ্রতা ৯০-এর কোঠায়।

তার জেরেও আগামী দিনে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কিছুটা বাড়বে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন। সপ্তাহের প্রথম দিন সোমবার কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে মাঝেমধ্যেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা এবং মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। এছাড়া বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এই একই প্রবণতা জারি থাকবে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাগুলিতে। এছাড়া উত্তরের পাঁচ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে বলে জানা গেছে। অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে।