বড় ধাক্কা, প্রায় আড়াই হাজার কর্মী তৃণমূল শিবির ছেড়ে যোগ দিলেন কংগ্রেসে

এ যেন পুরো উলটপুরাণ। গত বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বিপুল পরিমাণ ভোটে জয়লাভের পর থেকেই ত্রিপুরা, গোয়া এবং অসমের মতো রাজ্যগুলিতে ক্ষমতা বিস্তার করতে তৎপর হয়ে ওঠে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে ত্রিপুরায় নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণে একাধিক পরিকল্পনা এবং কর্মসূচি নেয় ঘাসফুল শিবির।

সেই সময়ে কংগ্রেস এবং অন্যান্য একাধিক দল থেকে নেতাকর্মীরা যোগদান করলেও বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের ত্রিপুরা জয়ের স্বপ্ন ক্রমশই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে আর এবার তৃণমূলের ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক সহ প্রায় আড়াই হাজারের কাছাকাছি নেতা কর্মী দল ছেড়ে যোগদান করলেন কংগ্রেসে।

ফলে পরবর্তী সময়ে নিজেদের হারানো অবস্থান পুনরুত্থানের জন্য কি পরিকল্পনা নেয় তারা, সেটাই বড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড়িয়ে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ত্রিপুরার চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে তার পূর্বেই বিজেপি থেকে থেকে ইস্তফা দেন সুদীপ রায় বর্মন।

ত্রিপুরায় তৃণমূল শক্তি দেখাতে চাইলেও উপনির্বাচনে এক প্রকার মুখ থুবড়ে পড়ে তারা আর এবার বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই এদিন অসংখ্য নেতা কর্মীরা তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরে গেলেন। এদিন আগরতলা ত্রিপুরা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি সভার আয়োজন করা হয়, যেখানে দলে দলে নেতা কর্মীরা তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করলেন।

সবচেয়ে বড় কথা, দল বদলের এ তালিকায় যোগ দেন ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বাপটু চক্রবর্তীও। এদিন কংগ্রেসের সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি গোপাল রায়, সুদীপ রায় বর্মন এবং আশিস কুমার সহ আরো অনেকে।

সূত্রের খবর, এদিন দুই হাজারের কাছাকাছি মানুষ কংগ্রেসে যোগদান করেন। এছাড়াও গত পুরভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লড়া বহু প্রার্থী এদিন যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে। দলবদল প্রসঙ্গে এদিন কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন বলেন, “বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে মানুষ কিছু সময়ের জন্য তৃণমূল কংগ্রসে যায়। তবে পরবর্তীতে তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে। তারা জেনে গিয়েছে যে, তৃণমূলে থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। তাই তারা কংগ্রেসে ফিরে এসেছে।”

যদিও এই প্রসঙ্গে বিরোধীদের সকল অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন তৃণমূল নেতা রাজীব ব্যানার্জি বলেন, “আজ কংগ্রেসের সভায় যে দল বদল হয়েছে, তাতে আমাদের দলের কোন যায় আসে না। কয়েকজন ক্ষমতালোভীরাই কেবল দল পরিবর্তন করেছে। আমাদের লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে। আগামী দিনে আমরাও একাধিক কর্মী সমর্থকদের আমাদের দলে যোগদান করাবো।”