কিছুদিন আগে একটি মর্মান্তিক ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে রাজ্যে জুড়ে। এরপরেই হাই কোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত ভার যায় সিবিআই-এর হাতে। প্রায় তিন মাস সময় লেগে গেল এই ঘটনার চার্জশিট পেশ হতে। বীরভূমের বগটুইয়ে তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের মামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এই প্রথম চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। ঘটনার প্রায় ৯০ দিনের মাথায় এই চার্জশিট পেশ করেছে তারা, তাও মুখবন্ধ খামে। তবে জানা গিয়েছে, এই চার্জশিটে নাম রয়েছে ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত আনারুল সহ ১৮ জনের।
গত এপ্রিল মাসে বগটুই-কাণ্ডে আদালতে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করেছিল সিবিআই। কিন্তু রাজ্য সেই সময় থেকেই সিবিআই তদন্তে আপত্তি জানিয়েছিল তবে তা গ্রাহ্য হয়নি। প্রাথমিক ভাবে রাজ্য সরকার সিট গঠন করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল। তখন ২২ জনের নাম উল্লেখ করে ঘটনায় জড়িত আরও ৭০- ৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়। পরে ২০ জনকে গ্রেফতারও করা হয়। তার কিছু দিন পরেই সিবিআই এই ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করে। বগটুই গ্রামে এসে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ শুরু হয়, ঘটনাস্থলের ছবি, ভিডিয়োগ্রাফি, ম্যাপ, স্কেচ সবই করা হয়। অবশেষে ৩ মাসের মাথায় সিবিআই বগটুই কাণ্ডে প্রথম চার্জশিট জমা দিল রামপুরহাট আদালতে।
মনে করিয়ে দিতে হয়, রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বোমা হামলায় মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের৷ তিনি রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন। জাতীয় সড়কের পাশে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন ভাদু। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে এক দল দুষ্কৃতী। ঘটনায় গুরুতর জখম হন ভাদু৷ রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ভাদুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এর পরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বগটুই৷ পর পর দশটি বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷