রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই তল্লাশির ফলেই বালিগঞ্জ থেকে উদ্ধার হয় ওই বিপুল অর্থ। বিভিন্ন সাক্ষীর বয়ান, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি খতিয়ে দেখেই গোয়েন্দারা এই অফিসের সন্ধান পেয়েছিলেন।
ইডি দাবি করেছে, তারা জানতে পেরেছিলেন যে, কোনও এক ‘প্রভাবশালী নেতা’ কয়লা পাচারের টাকা সরানোর চেষ্টায় আছেন। সেই টাকা দিয়েই নতুন সম্পত্তি কেনার উপক্রম হচ্ছিল। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ১২ কোটি টাকার কোনও সম্পত্তি কেনার তোড়জোড় চলছিল যার চুক্তিপত্রে দাম রাখা হয়েছিল ৯ কোটির মতো। এই সংক্রান্ত কিছু খবর পেতেই তৎপর হয়ে ওঠে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আর তার জন্যই এই তল্লাশি অভিযান এবং টাকা উদ্ধার।
প্রায় ১ কোটির কাছাকাছি টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। অনুমান করা হচ্ছিল, এই অফিসের অন্যান্য অনেক জায়গাতেও টাকা লোকানো থাকতে পারে। তাই জোরকদমে তল্লাশি চালাচ্ছিল ইডি। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন ভোরবেলা পর্যন্ত তল্লাশি চালানোর পর আরও ৪০ লক্ষ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।