সম্পর্কে চিড়, পিতৃ পরিচয় থেকে মুক্ত হতে চান মাস্ক কন্যা

দীর্ঘদিনের মতপার্থক্য, সম্পর্ক নেই বাবার সাথে, তাই এবার সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে আইনতভাবে পদবীতে বদল চান বিশ্বের অন্যতম ধনীর কন্যা। চান না বর্তমান পিতৃপরিচয়। আর তাই আদালতে নিজের এবং সঙ্গে বাবা এলন মাস্কের নাম পরিবর্তন করার ইচ্ছাপ্রকাশ করে আবেদনপত্র জমা দিলেন ইলন মাস্কের ১৮ বছর বয়সী কন্যা জেভিয়া আলেকজান্ডার মাস্ক। জানা যাচ্ছে, এলন মাস্কের এই কন্যা আসলে তৃতীয় লিঙ্গের অন্তর্ভুক্ত।

আর তাই তিনি তার নতুন পরিচয়ের উপর ভিত্তি করে নাম পরিবর্তনের আবেদন জানিয়েছেন আদালতে। একইসঙ্গে তিনি তার পিতৃপরিচয় পরিবর্তনের আবেদন জানিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে খবর। আলেকজান্ডারের কথায়, ‘আমি আমার বাবার সঙ্গে বহু বছর বসবাস করি না। তার সাথে কোন রকম সম্পর্ক না থাকার কারণে আমি আমার বায়োলজিক্যাল বাবার পরিচয় থেকে মুক্তি চাই।’

জানা যাচ্ছে চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই আলেকজান্ডার নিজের এবং সাথে বাবার নাম জন্মের নথি অর্থাৎ বার্থ সার্টিফিকেট থেকে সরিয়ে দেওয়ার আবেদন নিয়ে লস এঞ্জেলেসের কান্ট্রি সুপেরিয়র আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সম্প্রতি তার সেই আবেদনপত্রই সংবাদমাধ্যমের হাত ধরে খবরের শিরোনামে এসেছে। জানা যাচ্ছে, জেভিয়ার্স আলেকজান্ডার মাস্ক সম্প্রতি ১৮ বছর বয়সে পদার্পণ করেছেন।

আর তারপরেই মাস্কের প্রাপ্তবয়স্ক কন্যা যিনি বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা তিনি নিজের লিঙ্গ পরিবর্তনের আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। আদালতে জমা দেবার নথি অনুসারে আলেকজান্ডার জন্মসূত্রে একজন পুরুষ হলেও সম্প্রতি তিনি নারী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে আদালতে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। উল্লেখ্য জেভিয়ার আলেকজান্ডার ইলন মাস্ক এবং জাস্টিন উইলসনের সন্তান। নব্বইয়ের দশকে তাঁরা বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন এবং ২০০৮ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

আদালতে দাখিল করা আবেদনে এলন-কন্যা জানিয়েছেন, ‘জন্মসনদে লিঙ্গের জায়গায় লেখা আছে পুরুষ। কিন্তু লিঙ্গ পরিবর্তনের পর আমি বর্তমানে মেয়ে। তাই, আগের জন্মসনদ বাতিল করে নতুন করে জন্মসনদ দেওয়া হোকা। পাশাপাশি মা জাস্টিন উইলসনের সঙ্গে বাবা এলনের অনেক আগেই বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। তাই, এলন মাস্ক আর আমার বাবা নন। জন্মসনদে বাবার নামের জায়গায় লেখা এলন মাস্ক নামটি বাদ দিতে হবে।’